পৃথিবী কেন ধ্বংস হবে?

    পৃথিবী কেন ধ্বংস হবে
    পৃথিবী ধ্বংসে প্রতীক ছবি।

    ওয়েস্টার্ন ডেটা সায়েন্স: বিজ্ঞানীদের দাবি পৃথিবীতে প্রথম প্রলয় আসে ৪৪৩ মিলিয়ন বছর আগে। এর নাম দেওয়া হয় এন্ড অর্ডোভিসিয়ান। এই সময় পৃথিবীর সমস্ত জল বরফে পরিণত হতে থাকে।সাগরে বসবাসকারী প্রাণীরা মারা যেতে থাকে। এই সময় প্রায় ৮৬টি প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যায়। ২০১৭ সালের বর্তমান জীববিজ্ঞান জার্নালে বিশদভাবে এই প্রলয়ের ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

    পৃথিবী ধ্বংস হবে

    দ্বিতীয় প্রলয় হয় প্রায় ৩৫৯ থেকে ৩৮০ মিলিয়ন বছর আগে। একে বলা হয় এন্ড ডেভোনিয়ান। আগ্নেয়গিরির আকস্মিক সক্রিয়তার কারণে এই প্রলয় আসে। অক্সিজেনের মাত্রা কমতে শুরু করে। তখন উপস্থিত প্রায় ৭৫ শতাংশেরও বেশি প্রজাতি বিলুপ্ত হয়। অনেক মাছ ধ্বংস হয়ে যায়। মজার বিষয় হল যে, ছোটো প্রজাতির প্রাণীরা বেঁচে ছিল। সেখান থেকেই উভচর, সরীসৃপ ও স্তন্যপায়ী প্রাণীর বিভাজন শুরু হয়। 

    এবার ষষ্ঠবারে প্রলয় আসার পালা। এই নিয়ে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করছেন। কীভাবে আসলে সেই প্রলয় বা ধ্বংসলীলা কেন এবং কখন?এই প্রসঙ্গে নয়ের দশকে বিখ্যাত জীবাশ্মবিদ রিচার্ড লিকি সতর্ক করেছিলেন যে, ষষ্ঠ বিলুপ্তির জন্য মানুষই দায়ি হবে।

    কারণ হিসেবে তিনি বলছেন যে, আগের পাঁচটি দুর্যোগই প্রাকৃতিক কারণে ছিল। কিন্তু এবার বিপদ বেশি। কারণ মানুষের কর্মকাণ্ড। বিজ্ঞানীদের দাবি যে,মানুষের জন্যই পৃথিবীতে অক্সিজেনের মাত্রা কমেছে।বিজ্ঞানীদের দাবি, এখন এমনিতেই পৃথিবী থেকে অনেক প্রজাতি বিলুপ্ত হতে শুরু করেছে। মানুষের কারণে পৃথিবীতে প্রজাতির বিলুপ্তির গতি প্রায় ১০০ গুণ বেড়েছে। 

    আরও পড়ুন: পৃথিবীকে কিভাবে বদলে দিচ্ছে মনুষ্য যুগ?

    অর্থাৎ আমাদের কারণে জীবের ধ্বংস হচ্ছে শতগুণ গতিতে। প্রসিডিংস অফ ন্যাশনাল একাডেমি অফ সায়েন্সেস (পিএনএএস)-এ একদল বিজ্ঞানী এই বিষয়ে ক্রমাগত গবেষণা করছেন।তাঁরা দাবি করছেন যে, ষষ্ঠ প্রলয় বা পৃথিবীর ধ্বংসের কারণ হতে পারে জলবায়ু পরিবর্তন। বিজ্ঞানীদের দাবি যে, গতিতে পৃথিবী উষ্ণ হচ্ছে এবং সাগরের বরফ গলছে তা ভয়ঙ্কর। এতে অক্সিজেনের মাত্রা কমতে শুরু করবে। সামুদ্রিক প্রাণীরা মারা যাবে। 


    পৃথিবী ধ্বংস হবে
    প্রতীক ছবি।

    আরও পড়ুন: মঙ্গল গ্রহেও জন্মাবে গাছ, অন্ধকারে গাছ জম্মিয়ে রেকর্ড গড়লেন বিজ্ঞানীরা

    জল দিয়ে শুরু হলেও তার প্রভাব বাতাসে পড়বে। ধীরে ধীরে অনেক প্রজাতি শেষ হয়ে যাবে। এই প্রসঙ্গে বলা রাখা দরকার, ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার কারণে অনেক দেশেই বনে আগুন লেগেছে। ইউরোপের দেশগুলোতে এর মাত্রা সব থেকে বেশি। সেজন্য অফিসও বন্ধ রাখতে হয়েছে। 

    বিজ্ঞানীদের মতে, প্রতি বছর প্রায় ২৪ মিলিয়ন একর বন কেটে ফেলা হচ্ছে। যা ২০১৫ সালের রিপোটে বলা হয়েছে। কবে ধ্বংস হবে পৃথিবী? এই নিয়ে বিভিন্ন বিজ্ঞানী বিভিন্ন দাবি করছেন। ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির প্ল্যানেটারি সায়েন্সেস বিভাগ তার গবেষণার ভিত্তিতে বলেছে যে, ২১০০ সালের দিকে এই মহাপ্রলয় আসতে পারে।অন্য দিকে এটাও মনে করা হচ্ছে যে, যে হারে পৃথিবী গরম হচ্ছে, তাতে তার আগেই ধ্বংস হতে পারে পৃথিবী সব।

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    নবীনতর পূর্বতন

    যোগাযোগ ফর্ম