উল্কা কাকে বলে? উল্কাপাত ও উল্কাবৃষ্টি কি

    এটি মহাকাশে পরিভ্রমণরত পাথর বা ধাতু দ্বারা গঠিত ছোট মহাজাগতিক বস্তু যা পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করলে বায়ুর সংঘর্ষে জ্বলে উঠে। তখন একে উল্কাপাত (meteor) বলে। এই উল্কাপাতের জন্য দায়ী বস্তুগুলোকে উল্কা বলে। এসব উল্কার বেশীরভাগই গ্রহাণুর বা ধূমকেতুর অংশবিশেষ।


    উল্কা কাকে বলে? উল্কাপাত ও উল্কাবৃষ্টি কি
    উল্কা


    উল্কা কি

    উল্কা বলতে সাধারণত কাদের বোঝানো হয় । মেঘমুক্ত রাতের আকাশে বিশেষ করে জোরালো চাঁদের আলো না থাকলে প্রায়ই চোখে পড়ে উজ্জ্বল আলোর এক রেখা হঠাৎ করে আকাশের গায়ে ফুটে উঠে মিলিয়ে গেল । এই ঘটনাকে সাধারণত উল্কাপাত বা তারা খসা বলে । যে বস্তুগুলোকে এইভাবে আত্মপ্রকাশ করতে দেখা যায় তাদেরকে বলে উল্কা । মোটেও তা নয় বরং বলা চলে তাদের সঙ্গে এদের আকাশ-পাতাল তফাৎ প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যায় । যে প্রকৃতপক্ষে আমরা তারা বলতে যাদের বুঝেই তাদেরকে আমরা কখনই উল্কার মতো দ্রুত ধাবমান রূপে প্রত্যক্ষ করতে পারিনা । কেননা তারা আকাশে আপেক্ষিকভাবে স্ত্রীয়ের উল্কা হঠাৎ জ্বলে উঠে । আবার নিভে যায় কেন নিজস্ব কোন আলো থাকে না । এরা এক ধরনের তারবিহীন বস্তুপিণ্ড মহাকাশে এখানে ওখানে ছড়িয়ে আছে । 

    কোথাও দলবদ্ধভাবে কোথাও বিচ্ছিন্নভাবে এরা কেউ হয়তো মহাকাশে প্রায় একই অঞ্চলে প্রায় গতিহীন হয়ে দীর্ঘকাল পড়ে আছে । নানা কারণে ইতস্তত ঘোরাঘুরি করছে ।পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘুরছে বলে এদের নিজেদের গতিশীলতা কারণে মাঝে মাঝে কোন কোন উল্কা পৃথিবীর ঘারের কাছে এসে পড়ে তখন পৃথিবীর মহাকর্ষ বলের প্রচন্ডভাবে টানতে থাকে । ফলে এরা পৃথিবীর দিকে ছুটে আসতে বাধ্য হয় । পৃথিবীর নিয়ম অনুসারেই দ্রুততর হয় কিন্তু পৃথিবীর প্রায় হাজারখানেক কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত আছে । তার বায়ুমণ্ডল এর বিশেষ করে তার নিচের দিকে ধাবমান প্রচন্ড সং এর ফলে বিষয়গুলো জ্বলতে থাকে । এই ঘটনার শুরু হয় সাধারণত পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার উচ্চতায় । তখন প্রথম গুলো আমাদের দৃষ্টিগোচর হয় যতক্ষণ থাকে ততক্ষণ এদেরকে আকাশের পটভূমিকায় দেখতে পাওয়া যায় ।

    আরও পড়ুন: ধূমকেতু আসলে কি ? ধূমকেতু কবে দেখা যাবে

    স্বাভাবিকভাবে জ্যোতিষ মেঘেদের আর দেখার প্রশ্ন উঠেনা আচার-আচরণ জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের কাছে বিশৃংখল মনে হয় । কেন বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে উল্কাপাত বিশৃঙ্খলা আচার-আচরণের পিছনে আসলে মানুষের অজ্ঞ । তাদের সম্পর্কে মূল্যবোধ গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্নের উত্তর এখনো জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের কাছে প্রায় সম্পূর্ণ । অজানা আর থেকেই বলে দিতে পারেন কখন কোথায় দেখা মিলবে কাদের ক্ষেত্রে এমনটা কখনই বলা যায় না । তারা মনে করেন যে মহাকাশের কোথায় কোথায় আছে আনা আছে এবং এদের উৎপত্তি কিভাবে হয়েছে । পারেন সেই সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য যথেষ্ট তথ্য না পাওয়া পর্যন্ত এদের রহস্য উদ্ঘাটিত হবে না । 

    আরও পড়ুন: তারা খসা দেখলে কি হয়

    অনেক চিন্তা ভাবনা করে এবং কিছু সফল পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে তারা আপাত এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, বেশকিছু উৎপত্তি হয়েছে স্থান থেকে আবার তারা মনে করেন যে বেশ কিছু সৃষ্টি হয় তাদের দেহের অংশ থেকে । তাদের সম্পর্ক থাকার ব্যাপারে নিশ্চিত হতে সংগ্রহ করা গেছে ।  বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে যুগ যুগ ধরে ভূপৃষ্ঠে এসে জমা হয়েছে এবং তাদের একটা খুব বড় অংশই বিজ্ঞানের চোখের আড়ালেই থেকে গেছে । কিন্তু তবুও সংগ্রহীত উল্কার পরিমাণ নেহাতই কম নয় আজকাল বড় বড় জাদুঘরের এইরকম কিছু সংগ্রহ সর্বসাধারণের প্রদর্শনের জন্য রাখা হয় । যে উল্কাপিণ্ড বায়ুমন্ডলের শেষ হয়ে যায় না বৃষ্টি এসে উপনীত হয় তাদেরকে বলা হয় উল্কাপিণ্ড ।এদেরকে পরীক্ষাগারে বিশ্লেষণ করে জানা যায় উপাদানের দিক থেকে এরা প্রধানত তিন রকমের হতে পারে । যেমন প্রস্তরময়, লৌহঘটিত ও নবগঠিত উল্কাপিণ্ড । উল্কাপিণ্ডে প্রধানত ম্যাগনেসিয়াম অক্সাইড দ্বারা গঠিত সেইসঙ্গে বেশকিছু নির্মাণ করেছে আর দুই ধরনের উল্কাপিন্ডের উপাদান একই পরিমানে তৃতীয় ধরনের উল্কাপিণ্ড গঠন করে ।


    উল্কা কাকে বলে উল্কাপাত ও উল্কাবৃষ্টি কি 1
    উল্কাপাত ও উল্কাবৃষ্টি


    উল্কাপাত ও উল্কাবৃষ্টি

    আজকের বিষয় উল্কা ও উল্কাবৃষ্টি পরীক্ষা জিনিসটা আসলে কি ও বৃষ্টি আসলে কেন হয় আর কেনই বাউল কাদের খসে পড়া তারার মত দেখায় । প্রথমে আসা যাক উল্কাটি সে প্রশ্নের যেসব বস্তু মহাকাশে ঘুরে বেড়ায় তাদের কে মহাজাগতিক বস্তু বলা হয় । এরকম কোন মহাজাগতিক বস্তু পৃথিবীর যথেষ্ট কাছে এসে পড়লে পৃথিবীর মহাকর্ষ ক্ষেত্রের প্রভাবে বস্তুটি ভূপৃষ্ঠের দিকে এগুতে থাকে । তখন এর সঙ্গে বায়ুমন্ডলে কণাগুলো সংঘর্ষ ঘটে এই সংঘর্ষ এবং ঘর্ষণের ফলে বস্তুটি জ্বলে ওঠে । আলোর রেখা দেখা যায় সেটি উল্কা বেশিরভাগ সময় এত ছোট হয় যেটি ভূপৃষ্ঠ ছাই হয়ে যায় । কিন্তু যদি মোটামুটি বড় আকারের হয় তখন সেটি পুরোপুরি ছাই হয়ে যায় না । 

    অবশেষে বিশ্বজুড়ে আছে পরে উল্কাপিণ্ড বলা হয় । এখন প্রশ্ন হলো এগুলো আসছে কোত্থেকে সৌরজগতের সবচেয়ে ছোট গ্রহ পৃথিবী থেকে বেশ দূরে অবস্থান করে । সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে এছাড়াও পাথরের টুকরোর মতো ছড়িয়ে থাকে অধিকাংশ বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার সাথে সংঘর্ষের ফলে পৃথিবীপৃষ্ঠ পর্যন্ত পর্যন্ত হয়ে যায় । এবং পৃথিবী ও মঙ্গল গ্রহে অভিকর্ষ বলের প্রভাবে সাধারণত দেখা যায় । পৃথিবীর দিকে আমরা দেখি সেগুলো কিলোমিটার পযন্ত হয়ে থাকে ।

    প্রতিদিন লক্ষ বছরে একবার হয় যেগুলো নিজস্ব কক্ষপথ ভ্রমণের সময় কোন কারণে কক্ষ থেকে বিচ্যুত হয়ে যায় এবং পৃথিবী মঙ্গল গ্রহে অভিকর্ষ বলের প্রভাবে ভূপৃষ্ঠের উপর আছে  পরে সাধারণত ভোরের দিকে সন্ধ্যার ছায়া দেখা যায় । কারণ সে সময়কার অবস্থান থাকে পৃথিবীর গতির দিকে খালি চোখে আমরা দেখি । সেগুলো প্রায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার উপরে থাকে । আর থাকে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৩০ কিলোমিটার ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়াদের কথা এখন আসা যাক । উল্কা বৃষ্টির গল্প প্রতিবছর পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে এ ধরনের ঘটনা প্রতিবছরই কিছু নির্দিষ্ট দিনে আকাশে উল্কার পরিমাণ বেশি বেড়ে যায় । এক্ষেত্রে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ টা উল্কা দেখা যেতে পারে । 

    আর এ ধরনের পরিস্থিতি কে বলে উল্কা বৃষ্টি । একটি নির্দিষ্ট জায়গা থেকেই আসে এগুলো কি বলেন এখন থেকে মনে হতেই পারে । এগুলো নিশ্চয়ই কোন একটি বস্তু থেকে খসে পড়েছে । আসলে কিন্তু তাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে বৃষ্টির কারণ থাকে সেটা মূলত কোন গ্যাসীয় পদার্থ তৈরি সূর্যের খুব কাছে চলে যায় । তখন এর কিছু অংশ বলা যেতে পারে ছড়িয়ে থাকে চলার পথে পৃথিবীর কাছাকাছি অঞ্চলের টুকরোগুলো পৃথিবীর দিকে ছুটে আসে বৃষ্টি  হয় । আজ এখানেই শেষ করছি আপনাদের ভাল লাগলে লাইক ও শেয়ার করুন এবং আপনার মূল্যবান মতামত কমেন্টে জানান ।  

    ধন্যবাদ

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    নবীনতর পূর্বতন

    যোগাযোগ ফর্ম