পৃথিবীর কেন্দ্রেও বইছে হাওয়া, আশ্চর্য আবিষ্কারে চাঞ্চল্য বিজ্ঞানী মহলে

    পৃথিবীর কেন্দ্রেও বইছে হাওয়া, আশ্চর্য বিজ্ঞানী মহল
    পৃথিবীর কেন্দ্রেও বইছে হাওয়া । ফাইল ও ছবি ।


    হ্যালো বন্ধুরা পৃথিবীর  উপর দিয়ে যেমন বাতাস বয়ে যায় ঠিক তেমনই পৃথিবীর অভ্যন্তরে কেন্দ্রের মধ্যেই বইছে বাতাস । এক নতুন গবেষণায় এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন বিজ্ঞানীরা । সম্প্রতি আমেরিকায়  ভূগর্ভে দেড় হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ পথ খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা । আর তখনই খোঁজ মিলেছে ওই বায়ুস্রোতের । ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সের একটি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে একটি এই সংক্রান্ত গবেষণাপত্রটি ।

    সেখান থেকে জানা যাচ্ছে যে, মধ্য আমেরিকার পানামা খাল ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরের গালাপাগো দ্বীপপুঞ্জের নিচে পৃথিবীর কেন্দ্রীয় স্তরে ১৫০০ কিঃমিঃ ওই দীর্ঘ পথ খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা । দেখা গিয়েছে ওই অঞ্চল দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পৃথিবীর আভ্যন্তরীণ পদার্থ । গবেষণাপত্রটির প্রধান লেখক গবেষক ডেভিড বেকার্ট জানিয়েছেন । পৃথিবীর গভীরে যে আগ্নেয় পদার্থ তার সঙ্গে তুলনা করা যায় কোনও জীবের শরীরের। শরীল কেটে গেলে যেমন রক্ত বাইরে বেরিয়ে আসে । ঠিক তেমনই সেই ভাবেই লাভা পৃথিবীর ভূত্বকের উপরে বেরিয়ে আসে ।


    এই গবেষণায় তাঁরা সন্ধান পেয়েছেন এমন এক ধরনের লাভার  যা বিরল গোত্রীয় । কী করে এই পদার্থের সৃষ্টি হল সেই নিয়েই গবেষণা করেছে ওই গবেষক দল । আর তখনই তারা সন্ধান পেয়েছেন পৃথিবীর গভীরে বয়ে চলা বাতাসের । এই আবিষ্কারকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা । ডেভিড বেকার্টের কথায় পানামার নিচে আমরা একটা গর্ত খুঁজে পেয়েছি । সেখান দিয়েই দেখা গিয়েছে ওই প্রবাহ বয়ে চলেছে।

    পৃথিবীর গভীরে কী আছে তা নিয়ে কৌতূহল আজকের নয়। কিংবদন্তি কল্পবিজ্ঞান লেখক জুল ভার্নের জার্নি টু দ্য সেন্টার অফ দ্য আর্থ উপন্যাসের প্রধান উপজীব্যই ছিল পৃথিবীর কেন্দ্রে পৌঁছনোর এক আশ্চর্য অভিযানের কাহিনি । পরবর্তী সময়ে বিজ্ঞান অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে । পৃথিবীর গর্ভের বহু অজানা তথ্য়ই প্রকাশ্যে এসেছে। কিন্তু হালফিলের এই আবিষ্কার দেখিয়ে দিল এখনও পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ জগৎ সম্পর্কে অনেক তথ্যই অজানা রয়ে গিয়েছে ।

    ধন্যবাদ বন্ধুরা 

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    নবীনতর পূর্বতন

    যোগাযোগ ফর্ম