সেলফি তুলে পাঠাল নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ

    সেলফি তুলে পাঠাল নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ
     সেলফি তুলে পাঠাল নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ ছবি।


    হ্যালো বন্ধুরা প্রথম ছবি পাঠাল নাসার নয়া স্পেস টেলিস্কোপ জেমস ওয়েব। তাতে দেখা গেল ২৫৮ আলোকবর্ষ দূরে একটি তারার আলো। শুধু তাই নয় নিজের একটি নিজস্বীও পাঠিয়েছে সে। তাতে ঝকঝক করছে তার সোনার আয়না।গত বছর ২৫ ডিসেম্বর মহাকাশে পাঠানো হয় জেমস ওয়েবকে। 

    এই প্রথম মহাকাশে থেকে এ ভাবে নজরদারি চালানো হবে বহির্বিশ্বের উপরে। মহাকাশে ২১ ফুট দীর্ঘ এমন বৃহদাকার দূরবীক্ষণ যন্ত্র পাঠানো হয়েছে এই প্রথম। বলা ভাল এটি অবজ়ারভেটরি বা মহাকাশ পর্যবেক্ষণাগার। ওয়েবের তোলা প্রথম ছবিটিতে দেখা গিয়েছে ২৫৮ আলোকবর্ষ দূরে উরসা মেজর নক্ষত্রপুঞ্জের একটি তারাকে। নাম এইচডি ৮৪৪০৬।

    এই অভিযানের সঙ্গে যুক্ত  বাল্টিমোরের স্পেস টেলিস্কোপ সায়েন্স ইনস্টিটিউট এর বিজ্ঞানী মার্শাল পেরিন বলেন যে, সত্যি বিস্ময়কর মুহূর্ত।এই টেলিস্কোপে রয়েছে একটি ষড়ভুজ আয়না। যার প্রতিটি বাহু একটি কফি টেবিলের আকারের। এগুলি একজোটে একটি ফোকাস তৈরি করবে। এ ভাবে পুরোদমে পর্যবেক্ষণের কাজ শুরু হবে জুনের শেষ থেকে।

    আরও পড়ুন: সৌরমণ্ডলে ঢুকছে এক ‘মহাদৈত্য’, এর আগে দেখা মেলেনি এত বড় আকারের ধূমকেতুর


    ওয়েবের ছবিতে তারার আলো
    ওয়েবের ছবিতে তারার আলো ছবি।

    আরও পড়ুন: টেলিস্কোপ কিভাবে তৈরি হয়

    হাবল স্পেস টেলিস্কোপের উত্তরসূরি এই দূরবীক্ষণ যন্ত্রটি ১০০০ কোটি ডলার ব্যয়ে তৈরি করা হয়েছে। এটি ইনফ্রারেড অবজ়ারভেটরি। ইনফ্রারেড রশ্মির মাধ্যমে মহাজাগতিক বস্তুগুলিকে চিহ্নিত করবে এ। ১৯৯০ সালে হাবলের উৎক্ষেপণের পরে কিছু গোলমাল দেখা গিয়েছিল। তিন বছর লেগেছিল সে সব ঠিক করতে। জেমস ওয়েবের ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত তেমন কিছু ধরা পড়েনি।

    ধন্যবাদ বন্ধুরা ।

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    নবীনতর পূর্বতন

    যোগাযোগ ফর্ম