চাঁদের গুহায় থাকবে মানুষ, খুঁজে দিলেন নাসার বিজ্ঞানীরা

    ন্ধুরা চলে এলাম আপনাদের নতুন কিছু তথ্য দিতে, চাঁদে ফের পাড়ি দেবে মানুষ। প্রস্তুতিও চলছে জোরকদমে। যে সম্ভাবনার কথা শুনিয়েছে নাসা তা বাস্তবায়িত হলে, এ বার চাঁদে পা দেবে প্রথম কোনও নারী। কোনও কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি। তবে তার আগে আসন্ন অভিযানের জন্য অনেক অনুসন্ধান পর্ব চলছে। তার মধ্যে অন্যতম চাঁদে বাসযোগ্য স্থানের সন্ধান।


    চাঁদের গুহায় থাকবে মানুষ, খুঁজে দিলেন নাসার বিজ্ঞানীরা
    চাঁদে পাওয়া গেল গুহা ছবি ।

    চাঁদের বাড়িতে গুহামানব

    চাঁদের পৃষ্ঠের তাপমাত্রা ভয়াবহ রকমের। দিনের বেলা ১২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তো রাতে নেমে যায় মাইনাস ১৭৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এই প্রতিকূলতার মধ্যে বাতাসশূন্য পরিবেশে মানুষের পক্ষে দীর্ঘদিন বাঁচা সম্ভব নয়। কিন্তু চাঁদের বুকে যে বড়সড় গর্তগুলো রয়েছে । তার তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকে বলে জানা গিয়েছে।লুনার রেকনিসেন্স অরবিটার এর পাঠানো তথ্য পর্যবেক্ষণ করে বিজ্ঞানীরা সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন ।

    আরও পড়ুন: অবশেষে চাঁদের বয়স জানা গেল 

    ওই গর্তগুলোতে চন্দ্রাভিযানের ঘাঁটি তৈরি করা যেতে পারে। এগুলোকে চাঁদের গুহাও বলা যায়। ভবিষ্যতে মহাকাশচারীদের ঠিকানা হতে পারে এগুলি। অর্থাৎ আধুনিক মানুষ হয়তো ফের চাঁদে গুহামানব হবে।জিয়োফিজ়িক্যাল রিসার্চ লেটারস জার্নালে এই সংক্রান্ত গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। তাতে লেখা হয়েছে যে, দীর্ঘমেয়াদি অভিযান ও বাসবাসের জন্য চাঁদের গুহার স্থিতিশীল ও নিরাপদ তাপমাত্রা কাজ দেবে।

    আরও পড়ুন: মহাবিশ্ব প্রতিনিয়ত প্রসারিত হচ্ছে

    চাঁদের মেয়ার ট্রানকুইলিটেটিস এলাকায় একটি বড় গুহার পরীক্ষা চলছে। গবেষণাপত্রটিতে বলা হয়েছে যে, সূর্যালোক সরাসরি না পৌঁছনোয় এই সব জায়গায় আবহাওয়া অনেকটাই অনুকূল। একটি ১০০ মিটার গভীর ও ফুটবল স্টেডিয়ামের মাপের গুহার প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে বিজ্ঞানী দল।কম্পিউটার মডেলিংয়ের সাহায্যে সেখানে গরম কেমন, লুনার ডাস্ট কেমন, সে সব অনুসন্ধান করা হচ্ছে।বিজ্ঞানীরা বলছেন আগে আমাদের পূর্বপুরুষরা যেমন গুহায় থাকত চাঁদে হয়তো মানুষকে সেই ঠিকানাতেই ফিরতে হবে।

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    নবীনতর পূর্বতন

    যোগাযোগ ফর্ম