মহাকাশে কি কি আছে ! জানলে অবাক হবেন

     

    মহাকাশে কি কি আছে ! জানলে অবাক হবেন

    গ্যালাক্সি ফটো


    মহাকাশে কি কি আছে


    ন্ধুরা এটা আমাদের পৃথিবী এই পৃথিবীর কোন না কোন জায়গায় আমরা বাস করি এবং আমরা যতটুকু জানি তাও এর মধ্যে অবস্থিত। কিন্তু যদি সমগ্র ব্রহ্মান্ডের সাথে তুলনা করা হয় তবে আমাদের পৃথিবী ঠিক কতটা ছোট হতে পারে আজ আপনাদের আমরা এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব । তাই চলুন আর দেরি না করে  শুরু করা যাক ব্রহ্মাণ্ডে আমাদের সব থেকে কাছের প্রতিবেশী হলো চাঁদ আপনারা অনেকেই হয়তো ভাবেন যে চাঁদ আমাদের পৃথিবীর খুব কাছেই অবস্থিত। কেননা রাতের আকাশে চাঁদের আলোয় বিরাজ করে কিন্তু বাস্তবে চাঁদ আমাদের পৃথিবীর এতটা কাছে অবস্থিত নয়। আমাদের পৃথিবী থেকে প্রায় তিন লক্ষ চুরাশি হাজার চারশো কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ।

    আর এই দূরত্বের মধ্যে দৃষ্টি পৃথিবী জায়গা করে নিতে পারবে আর যদি আপনি কোন ভাবে একটা না একটা গাড়ি ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে চালাতে পারেন তবে ওই দূরত্বে পৌঁছাতে আপনার ১৬০ দিন সময় লাগবে। দূরত্ব সত্ত্বেও মানুষ কিন্তু চাঁদে পা রেখেছেন আর পৃথিবী থেকে মানুষটিকে আজ পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছেন। তাই এটা মানব সভ্যতার এক মহান কীর্তি হিসেবে গণ্য করা হয় । যদি আপনি ছাদে দাঁড়িয়ে পৃথিবী কে দেখার চেষ্টা করেন তবে পৃথিবীতে এরকম দেখাবে আর যদি আপনি পৃথিবীতে কাউকে কোন বার্তা পাঠাতে চান তবে সেকেন্ড সময় লাগবে থেকে পৃথিবীতে আপনার প্রিয়জনের কাছে পৌঁছাতে গতিবেগে যাতায়াত করে । 

    এখন যে ফটোটা আপনারা দেখছেন সেটা মঙ্গল গ্রহ থেকে তোলা হয়েছে আর এই ছবিতে যে ছবি আপনারা দেখতে পাচ্ছেন সেটা হলো আমাদের পৃথিবী মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠ থেকে আমাদের পৃথিবী মঙ্গল গ্রহ পৃথিবী থেকে ২৫ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সর্বোচ্চ ১ মিলিয়ন কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে এর অর্থ হচ্ছে যদি মানুষ কখনো সত্যি হতে পারে তবে যতটা দূরত্ব চাঁদে পা রাখা মহাকাশচারীদের পৃথিবীতে গেছিল ।ঐ ব্যক্তি দূরত্বের ৯৮৬ গুণ বেশি দূরে থাকবে তাছাড়া মঙ্গল থেকে পৃথিবীকে পাঠাতে কিন্তু নয় বরং আলোর গতিবেগ হিসেব করলে প্রায় কুড়ি মিনিট লাগবে ।যদি এর থেকেও দূরে দেখতে চাই তবে আমরা ফেসবুকে খুঁজে পাবো পৃথিবী থেকে সবথেকে দূরে রয়েছে বর্তমানে পৃথিবী থেকে ১৫০ দূরে আছে যেটা সূর্য পৃথিবীর মধ্যে দূরত্ব অর্থাৎ পৃথিবী থেকে সূর্য কত দূরে আছে তার থেকে ১৫০ গুণ বেশি দূরে আছে। আর এই দূরত্ব অতিক্রম করতে করতে এই ছবিটি তুলেছে সাধারণভাবে ছবিটাকে বিশেষ কিছু মনে না হলেও আসলে মানব ইতিহাসে এত মূল্যবান ছবি তোলা হয়নি পৃথিবীর প্রতি সেকেন্ডে কত কিলোমিটার বেগে চলছে । 

    আগামী 30 হাজার বছরে এটা আমাদের সৌরজগতের সীমানা ছেড়ে বেরোতে পারবে না। আমরা পৌঁছে যাব আমাদের এখান থেকে দূরত্ব মাপার একক হয়ে যাবে আলোকবর্ষ অর্থাৎ পৃথিবীর হিসেবে এক বছরে যে পরিমাণ দূরত্ব অতিক্রম করে অর্থাৎ ৯.৪৮ মিলিয়ন কিলোমিটার আপনারা এখানে শেয়ার করে আমাদের সব থেকে কাছের নক্ষত্র প্রক্সিমা সেন্টরি। কে দেখতে পাচ্ছেন কিন্তু তা আমাদের থেকে ৪.24 আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত । আর যদি ওখানে পাঠানো হয় তবে তার ওখানে পৌঁছাতে সময় লাগবে 70 হাজার বছরেরও বেশি করে ব্যাপারটা দেখি তবে আমরা পুরো মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি টাকে দেখতে পাবো যার। মধ্যে পৃথিবীতে অবস্থিত এই হল ইতিহাস থেকে দূরবর্তী রেডিও সিগন্যাল এর অর্থ হল যদি কোন গ্রহে বসবাস করে তবে তারা মানুষের অস্তিত্ব সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ আমরা এখনো যতদূর জানতে পেরেছি সেই অনুযায়ী রয়েছেসম্পূর্ণ নিস্তব্ধতা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এক আলোকবর্ষের বেশি জায়গা জুড়ে ছড়িয়ে আছে।

     এখানে ১০০ বিলিয়নেরও বেশি নক্ষত্র এবং ১০০ বিলিয়নেরও বেশি গ্রহ রয়েছে । কিন্তু আপনারা কখনোই রাতের আকাশে গ্যালাক্সি টি সম্পূর্ণ দেখতে পাবেন না ।কারণ আমরা খালি চোখে দেখতে পাই তা ৯৯% রয়েছে এই ছোট্ট হলুদ বক্সের মধ্যে কিন্তু এরপরেও বাকিদের কাছে এই প্রকাণ্ড গ্যালাক্সি টু কিছুই নয় ।আমরা ক্যামেরা জুম করে গ্যালাক্সি গ্যালাক্সি দের কাছে এসে পৌছালাম এখানে রয়েছে যেগুলো প্রায় ১০ লক্ষ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত।

    মহাকাশে কি কি আছে ! জানলে অবাক হবেন 1

    থেকেও গুরুত্বপূর্ণ এবং আকর্ষণীয় ব্যাপার হলো আমাদের এই দৃশ্যমান ব্রহ্মাণ্ডের বাইরে কি আছে একটা কথা মনে রাখবেন আমরা এখন যতটুকু দেখতে পাচ্ছি সেটা আসলে দৃশ্যমান ব্রহ্মাণ্ড কিন্তু এর বাইরেও যে ব্রহ্মান্ডে আছে সেটা আরো বিশাল । আরো সুন্দর হওয়ার সম্ভাবনা আছে যে আমাদের কল্পনা অতীত আমরা জানি না এর বাইরে কি আছে কেননা এই অবিশ্বাস্য রকম দূরত্ব থেকে আলো আমাদের কাছে অর্থাৎ পৃথিবীতে এসে পৌঁছানোর সময় পার করতে পারেনি। আর কিছু কিছু জায়গা থেকে আলো আমাদের কাছে পৌঁছাতে পারবে না কেননা ব্রহ্মাণ্ডের বেশ কিছু অংশ পৃথিবী থেকে অনেক দূরে অবস্থিত।আর তার থেকেও বেশি গতিবেগে বিস্তৃত হচ্ছে এর অর্থ হল এই সমস্ত জায়গা থেকে ভালোবেসে পৃথিবীতে পৌছাবেনা যদি ধরে নেয়া হয় মানব সভ্যতা চিরন্তন অর্থ সবসময় থাকবে এমন এক জায়গা থেকে যাবে যার সম্পর্কে আমরা কখনোই জানতে পারবো না । 

    আরও পড়ুন: নাসার বিজ্ঞানীদের বেতন কত?

    বা দেখতে পাবো না তাই দৃশ্যমান ব্রহ্মাণ্ড হোক না কেন সমগ্র ব্রহ্মান্ডের কাছে এটা একটা বিন্দু থেকে ছোট ইনফ্লেশন থিওরি অনুযায়ী অনুমান করা হয়েছে ইনফ্লেশন শুরু হওয়ার আগে ব্রহ্মাণ্ডের আকার আলোর গতিবেগ এর গুণফল সমান ছিল । তাহলে এখন সমগ্র বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের থেকে ১৫০ মিলিয়ন বড় মন দিয়ে দেখুন এই সংখ্যাটি এতগুলো আছে যা দেখলে আমরা অবাক হয়ে যাই । এবার এই সমস্ত কথা ভুলে যান আপনাদের একটি সহযোগী যতটুকু আমরা দেখতে পাই সমান কিন্তু তারপর ভাবুন বামন গ্রহ পূর্ব থেকে কল্পনা করুন কিন্তু লাইট বাল্ব এর ভিতরে আমরা যারা আছি। তারা জানিয়েছে তার ব্যক্তিত্ব আছে এবার নিশ্চয়ই আপনাদের বুঝতে সুবিধা হচ্ছে আমরা ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর কিন্তু চিন্তা করার কোনো কারণ নেই কেননা এখনো নতুন কিছু আবিষ্কার করার জন্য আমাদের কাছে অনেক কিছু আছে তাইনা বন্ধুরা তো বন্ধুরা  আপনাদের কেমন লাগলো এবং এই সম্পর্কে আপনার কোন মতামত থাকলে সেটা আমাকে কমেন্ট করে জানান।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে নাসায় চাকরি

    মহাকাশে কি কি আছে ! জানলে অবাক হবেন 2


    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    নবীনতর পূর্বতন

    যোগাযোগ ফর্ম