মিল্কিওয়ের কোথায় আছে ভিনগ্রহীরা ?

    মিল্কিওয়ের কোথায় আছে ভিনগ্রহীরা
    কেন্দ্রস্থলের আশেপাশেই ভিনগ্রহীদের এমন বহু সভ্যতা থাকতে পারে ছবি ।


    প্রাণের অস্তিত্বের সন্ধানে মানুষ আমাদের সৌর মন্ডল এবং তার বাইরে দূর মহাকাশে নজরে কি আসছে । মিল্কিওয়ের ছায়াপথের কোথায় হতে পারে ওই সমস্ত ভিনগ্রহীদের খোজ । তা নিয়ে চলছে গবেষণার আর এবার পথ দেখালেন বিজ্ঞানীরা । হ্যাঁ বন্ধুরা, খুব দূরে নয় আমাদের ব্রহ্মান্ডে আমাদের মিল্কিওয়ে ছায়াপথে রয়েছে ভিনগ্রহীরা ।ছায়াপথের কেন্দ্রস্থলের আশেপাশেই ভিনগ্রহীদের এমন বহু সভ্যতা থাকতে পারে ।

    ভিনগ্রহীরা

    যে সভ্যতা গুলো প্রযুক্তির দিক থেকে আমাদের এই মানব সভ্যতার থেকেও অনেক গুন এগিয়ে । মার্কিন অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি বা ESA একটি গবেষণা পত্রে প্রকাশীত এই খবর দিয়েছেন ।মিল্কিওয়ের ছায়াপথে ভিনগ্রহীদের সভ্যতাগুলোর সভাব্য ঠিকানা খুঁজে বের করতে বিভিন্ন টেলিস্কোপ ও উপগ্রহ মহাকাশে পাঠানো হয়েছে ।মহাকাশে পাঠানো তথ্যের  ভিত্তিতে কম্পিউটার সিমুলেশন করেছিলেন আমেরিকার পেন্সিল স্টেট ইউনিভার্সিটির এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল ইন্টেলিজেন্ট অধিকর্তা ও তার সহযোগী বিজ্ঞানীরা ।

    গবেষণা থেকে এটা জানা গিয়েছে এলিয়েনদের অ্যাডভান্স সে সভ্যতা গুলির হয়ত উৎপত্তি হয়েছে, মিল্কিওয়ের ছায়াপথের জন্মের একশ থেকে দেড়শ কোটি বছরের মধ্যেই । প্রসঙ্গত আমাদের এই  ছায়াপথের বয়স প্রায় এক হাজার ৩৫০ কোটি বছর । এর মানে বিংব্যংক বা মহা বিস্ফোরণের পর ব্রহ্মান্ডের সৃষ্টি হওয়ার ২০০ কোটি বছরের মধ্যেই ভিনগ্রহীদের সভ্যতার উৎপত্তি হয়েছিল ।

    আরও পড়ুন: কেন এলিয়েনদের সাথে আমাদের এখনো দেখা হয়নি? ভিনগ্রহের প্রাণীদের সম্পর্কে

    কালের নিয়মে সেই সভ্যতা গুলির কিছু কিছু বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে এতদিনে ।আমাদের ব্রহ্মাণ্ড ফুলেফেঁপে উঠছে প্রায় প্রতিটি মুহূর্তই বেলুনের মতো ।বেলুন ফুলা যেমন তার উপরে থাকা দুটি বিন্দুর মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে ক্রমশ । ঠিক তেমন ব্রহ্মাণ্ড ফুলে-ফেঁপে ওঠে ফলে গ্যালাক্সিগুলোর একে অন্যের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।সেই সব গ্যালাক্সির ভেতরে থাকা নক্ষত্রগুলো তার স্থানে বদল করেছে ।একে অন্যের থেকে দূরেও সরে যাচ্ছে ।ফলে ভিনগ্রহীদের সভ্যতাগুলো অবস্থানের পরিবর্তন হচ্ছে খুবই দূরত ।


    মিল্কিওয়ের কোথায় আছে ভিনগ্রহীরা ১
    ছায়াপথের কেন্দ্রস্থলের আশেপাশেই হয়তো ও সমস্ত ভিনগ্রহীদের সভ্যতা গুলি হবে ছবি ।


    তবে গবেষণাপত্রটি এটাও জানিয়েছেন মিল্কিওয়ের ছায়াপথের কেন্দ্রস্থলের আশেপাশেই হয়তো ও সমস্ত ভিনগ্রহীদের সভ্যতা গুলি হবে । পৃথিবী থেকে মিল্কিওয়ের ছায়াপথের কেন্দ্রের কাছে থাকা সুপার্মাসিভ ব্লাক হোল বা কৃষ্ণ গহ্বর রয়েছে ।যেটা পৃথিবী থেকে ৩০ হাজার আলোকবর্ষ দূরের ।এর থেকেও কম দূরত্বে থাকতে পারে ঐ সমস্ত ভিনগ্রহী সভ্যতাগুলো । গবেষকরা এই সমস্ত তথ্য পেয়েছেন কম্পিউটার সিমুলেশন করে । যারা দেখেছেন ভিনগ্রহীদের এই সমস্ত সভ্যতার হাতে রয়েছে এমন সব উন্নত টেকনোলজি যা তাদেরকে গ্যালাক্সি থেকে অন্যদিকে খুবই দ্রুত সরিয়ে নিতে সাহায্য করছে।

    আরও পড়ুন: অক্সিজেন উড়ে যাবে! পৃথিবীতে থাকবে না কোনও প্রাণ, আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের

    আর যা কারনে তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারছে ।মানে বলা চলে তারা হাইলি অ্যাডভান্স কোন সভ্যতা হবে ।বন্ধুরা বিজ্ঞানের এই খজটি আমাদেরকে এই ধারণা দিয়েছে আমাদেরকে মিল্কিওয়ের ছায়াপথে কেন্দ্রের দিকে থাকতে পারে হাইলি অ্যাডভান্স এলিয়েন সভ্যতা ।কিন্তু এখানে প্রশ্ন একটাই কেন ওই ধরনের অ্যাডভান্স সভ্যতা আমাদের এই গ্রহে আসে না ।কেমন লাগলো সেটি অবশ্যই কমেন্টে করে জানাবেন ।

    ধন্যবাদ বন্ধুরা ।

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    নবীনতর পূর্বতন

    যোগাযোগ ফর্ম