বিরল দৃশ্য! কাছাকাছি আসবে মঙ্গল, বৃহস্পতি, শুক্র ও শনি দেখা যাবে ২০২২লেই

    বিরল দৃশ্য! কাছাকাছি আসবে মঙ্গল, বৃহস্পতি, শুক্র ও শনি দেখা যাবে ২০২২লেই
    মঙ্গল, বৃহস্পতি, শুক্র ও শনি দেখা যাবে এক সঙ্গে প্রতীক ছবি। 


    ন্ধুরা চলে এলাম আপনাদের নতুন কিছু তথ্য দিতে, রাতের আকাশ যেন এক জাদুকরের মঞ্চ। মাঝেমধ্যেই সেখানে দুর্দান্ত সব মহাজাগতিক দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হন মহাকাশপ্রেমীরা। এবার তাঁদের জন্য নতুন সুখবর। এই বছরে একই রেখায় পাশাপাশি দেখা যাবে সৌরজগতের চার গ্রহকে । মঙ্গল, শুক্র , বৃহস্পতি ও শনিকে।

    দেখা যাবে মঙ্গল, শুক্র, বৃহস্পতি, শনিকে

    বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন যে, এর আগে ২০২০ সালে বৃহস্পতি ও শনিকে কাছাকাছি দেখা গিয়েছিল। এবার তারা অতটা কাছাকাছি না এলেও ভোরের আকাশে পাশাপাশিই দেখা যাবে দুই গ্রহকে। যদিও মহাশূন্যে তাদের মধ্যে দূরত্ব কোটি কোটি কিলোমিটার । তবুও পৃথিবী থেকে দেখলে মনে হবে সেগুলি পাশাপাশিই রয়েছে।

    এপ্রিলের গোড়া থেকেই শুক্র, শনি ও মঙ্গলকে দেখা যাচ্ছে মাত্র ৬ ডিগ্রি তফাতে। পরে যত সময় এগিয়েছে আরও কাছাকাছি এসেছে শনি ও মঙ্গল। তবে এরপর থেকে তাদের মধ্যে দূরত্ব বেড়েছে। কিন্তু আসল আকর্ষণ অপেক্ষা করে রয়েছে এপ্রিলের শেষ সপ্তাহের জন্য। এপ্রিলের শেষে এই চার গ্রহকেই দেখা যাবে কাছাকাছি। যা এক বিরল অবস্থান মনে করছে বিজ্ঞানীরা ।

    আরও পড়ুন: বৃহস্পতির জমজের সন্ধান, ১৭ হাজার আলোকবর্ষ দূরে কে২-২০১৬

    উল্লেখ্য যে, ২০২১ সালেও রাতের আকাশে নানা মায়াময় দৃশ্যের সাক্ষী ছিলেন মহাকাশপ্রেমীরা। এর মধ্যে অন্যতম ছিল চন্দ্রগ্রহণ ও সূর্যগ্রহণ। এছাড়াও গত অক্টোবরে রাতের আকাশে পাশাপাশি দেখা গিয়েছিল শুক্র, শনি ও বৃহস্পতিকে। জানা গিয়েছিল যে, কখনও চাঁদের পাশে দেখা মিলবে শুকতারা তথা সন্ধ্যাতারা তথা শুক্রের ঝলমলে চেহারার। আবার কখনও বৃহস্পতি ও শনির মাঝখানে দেখা যাবে পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহকে।

    আরও পড়ুন: হিমালয়ের চার গুণ দৈর্ঘ্য, প্রাগৈতিহাসিক লুপ্ত পর্বতমালার প্রমাণ মিলল এবার পৃথিবীতে

    এবছরও একাধিক মহাজাগতিক দৃশ্য দেখার সুযোগ পাচ্ছেন মহাকাশপ্রেমীরা। ২০২২ সালে মোট চারটি গ্রহণ রয়েছে। এর মধ্যে ২টি সূর্যগ্রহণ ও ২টি চন্দ্রগ্রহণ। মে ও নভেম্বর মাসে হবে চন্দ্রগ্রহণ। ভারত ও বাংলাদেশ থেকেও দেখা যাবে দৃশ্যটি। এছাড়াও আরও নানা মহাজাগতিক দৃশ্য দেখা যাবে সারা বছর জুড়েই।

    ধন্যবাদ বন্ধুরা 

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    নবীনতর পূর্বতন

    যোগাযোগ ফর্ম