বিগ ব্যাং থিওরি ও কুরআন

    ন্ধুরা চলে এলাম আপনাদের নতুন কিছু তথ্য দিতে, ইসলাম এবং বিজ্ঞান বলতে বুঝানো হয় ইসলাম ধর্ম ও তার অনুগামী মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে বিজ্ঞানের সম্পর্ককে ।


    বিগ ব্যাং থিওরি ও কুরআন
    বিগ ব্যাং ও কুরআন ছবি।

     

    ইসলাম ও বিজ্ঞান

    মুসলিম পণ্ডিতেরা কোরআনে বর্ণিত বিষয়গুলির সাথে বিজ্ঞানীদের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে একটি মতবাদ তৈরি করেছেন। কোরআন মুসলমানদের প্রকৃতি অধ্যয়নের এবং সত্যের তদন্ত করার জন্য উৎসাহ দেয়। মুসলিমরা প্রায়ই সূরা আল-বাকারা থেকে ২৩৫ আয়াত উদ্ধৃত করেন । তিনি তোমাকে তাই শিখিয়েছেন যা তুমি জানতে না। তাদের মতামত এটাই সমর্থন করে যে কুুুরআন নতুন জ্ঞান অর্জনের জন্য উৎসাহ প্রদান করে। কিছু মুসলিম লেখকদের মতে, বিজ্ঞান অধ্যয়ন তওহীদ থেকে উৎপন্ন হয়েছে।

    মধ্যযুগীয় মুসলিম সভ্যতার বিজ্ঞানীরা যেমন ইবনে আল-হায়থাম আধুনিক বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে অনেক অবদান রেখেছিলেন।এই সত্য আজ মুসলিম বিশ্বে পালিত হয়।একই সময়ে মুসলিম বিশ্বের অনেক অংশে বৈজ্ঞানিক সাক্ষরতার অভাব সম্পর্কে উদ্বেগ উত্থাপিত হয়েছে।কিছু মুসলিম লেখক দাবি করেছেন যে কুরআন বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনের বিষয়ে ভবিষ্যদ্বাণীমূলক বিবৃতি তৈরি করেছে যা পরে বৈজ্ঞানিক গবেষণা দ্বারা নিশ্চিত করা হয়েছিল ।

    বিগ ব্যাং থিওরি অনুযায়ী পৃথিবী একসময় অত্যন্ত উত্তপ্ত, জ্বলন্ত ও গ্যাসের পিণ্ড ছিল।তিনিই সূর্যকে তেজস্বী করেছেন এবং চন্দ্রকে জ্যোতির্ময় করেছেন এবং তার তিথি নির্দিষ্ট করেছেন। (সূরা ইউনূস, আয়াতঃ ৫)। কুরআনে সূর্যকে 'সিরাজ' (প্রদীপ) বলা হয়েছে । যা নিজেই আলো উৎপন্ন করতে সক্ষম। চাঁদের আলোকে কুরআনে 'মুনীর বলা হয়েছে।

    কাফেররা কি ভেবে দেখে না যে, একসময় নভোমণ্ডল ও ভূ-মণ্ডল ওতপ্রোতভাবে মিশে ছিল, অতঃপর আমি তাদেরকে বিচ্ছিন্ন করে দিলাম এবং জীবন্ত সবকিছু পানি থেকে সৃষ্টি করলাম? তবুও কি তারা অবিশ্বাস করবে? (সূরা আম্বিয়া, আয়াতঃ ৩০)।তিনি নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলকে অনস্তিত্ব থেকে অস্তিত্বে আনয়নকারী; তিনি যখন কিছু করতে চান তখন সেটিকে বলেন হও’ অমনি তা হয়ে যায়। (সূরা ইমরান, আয়াতঃ ১১৭)।

    এই আয়াত দ্বারা মহাবিশ্বের সৃষ্টির কথা প্রকাশ পেয়েছে। বিগ ব্যাং থিওরি অনুযায়ী একসময় মহাবিশ্বের সকল বস্তু আড়ষ্ট অবস্থায় ছিল একটি বিন্দুতে। অতঃপর বিস্ফোরণের মাধ্যমে তা আলাদা হয়ে গেছে। তাছাড়া সমস্ত জীবদেহের ৮০-৮৫%-ই পানি দিয়ে গঠিত।অতঃপর তিনি পৃথিবীর দিকে মনোনিবেশ করেন ,যা ছিল ধুম্রপুঞ্জ বিশেষ। (সূরা ফুসসিলাত, আয়াতঃ ১১)।এখানে ধুম্রপুঞ্জ বলতে পৃথিবীর আদি অবস্থার কথা বলা হয়েছে।ধুম্র শব্দের অর্থ-ধোয়া বা গ্যাস। বিগ ব্যাং থিওরি অনুযায়ী পৃথিবী একসময় অত্যন্ত উত্তপ্ত, জ্বলন্ত ও গ্যাসের পিণ্ড ছিল।

    তিনিই সূর্যকে তেজস্বী করেছেন এবং চন্দ্রকে জ্যোতির্ময় করেছেন এবং তার তিথি নির্দিষ্ট করেছেন। (সূরা ইউনূস, আয়াতঃ ৫)।কত মহান তিনি; যিনি সৃষ্টি করেছেন সৌরজগৎ এবং উহাতে স্থাপন করেছেন সূর্যকে প্রদীপরূপে এবং চন্দ্রকে করেছেন জ্যোতির্ময়! (সূরা ফুরকান, ২৫ঃ৫৪)কুরআনে সূর্যকে সিরাজ’(প্রদীপ) বলা হয়েছে; যা নিজেই আলো উৎপন্ন করতে সক্ষম। চাঁদের আলোকে কুরআনে মুনীর বলা হয়েছে। আরবীতে মুনীর অর্থ অন্য উৎস থেকে গৃহীত আলো বা প্রতিফলিত আলো’।

    মহাকাশ বিজ্ঞান ও কুরআন

    কাফেররা কি ভেবে দেখে না যে, একসময় নভোমণ্ডল ও ভূ-মণ্ডল ওতপ্রোতভাবে মিশে ছিল। অতঃপর আমি তাদেরকে বিচ্ছিন্ন করে দিলাম এবং জীবন্ত সবকিছু পানি থেকে সৃষ্টি করলাম? তবুও কি তারা অবিশ্বাস করবে? (সূরা আম্বিয়া, আয়াতঃ ৩০)।তিনি নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলকে অনস্তিত্ব থেকে অস্তিত্বে আনয়নকারী; তিনি যখন কিছু করতে চান তখন সেটিকে বলেন,হও’, অমনি তা হয়ে যায়। (সূরা ইমরান, আয়াতঃ ১১৭)।


    বিগ ব্যাং থিওরি ও কুরআন 1

    এই আয়াতদ্বয় দ্বারা মহাবিশ্ব সৃষ্টির সাধারণ তত্ত্ব প্রকাশ পেয়েছে। বিগ ব্যাং থিওরি অনুযায়ী একসময় মহাবিশ্বের সকল বস্তু আড়ষ্ট অবস্থায় ছিল একটি বিন্দুতে। অতঃপর বিস্ফোরণের মাধ্যমে তা আলাদা হয়ে গেছে। তাছাড়া সমস্ত জীবদেহের ৮০-৮৫%-ই পানি দিয়ে গঠিত।অতঃপর তিনি পৃথিবীর দিকে মনোনিবেশ করেন;যা ছিল ধুম্রপুঞ্জ বিশেষ। (সূরা ফুসসিলাত, আয়াতঃ ১১)।

    এখানে ধুম্রপুঞ্জ বলতে পৃথিবীর আদি অবস্থার কথা বলা হয়েছে।‘ধুম্র’ শব্দের অর্থ-ধোয়া বা গ্যাস। বিগ ব্যাং থিওরি অনুযায়ী পৃথিবী একসময় অত্যন্ত উত্তপ্ত জ্বলন্ত ও গ্যাসের পিণ্ড ছিল।তিনিই সূর্যকে তেজস্বী করেছেন এবং চন্দ্রকে জ্যোতির্ময় করেছেন এবং তার তিথি নির্দিষ্ট করেছেন। (সূরা ইউনূস, আয়াতঃ ৫)।কত মহান তিনি, যিনি সৃষ্টি করেছেন সৌরজগৎ এবং উহাতে স্থাপন করেছেন সূর্যকে প্রদীপরূপে এবং চন্দ্রকে করেছেন জ্যোতির্ময়! (সূরা ফুরকান, ২৫ঃ৫৪)।

    আরও পড়ুন: নিশ্বাসে বিষ! পৃথিবীর সবচেয়ে দূষিত প্রথম বাংলাদেশ

    কুরআনে সূর্যকে সিরাজ (প্রদীপ) বলা হয়েছে;যা নিজেই আলো উৎপন্ন করতে সক্ষম। চাঁদের আলোকে কুরআনে ‘মুনীর’ বলা হয়েছে। আরবীতে‘মুনীর‘অর্থ অন্য উৎস থেকে গৃহীত আলো বা প্রতিফলিত আলো’।চন্দ্র ও সূর্য হিসাবমত ঘোরে। (সূরা রহমান, আয়াতঃ ৫)।মহাকাশবিজ্ঞান অনুযায়ী চাঁদ ২৮ দিন ১২ ঘণ্টায় সমগ্র পৃথিবীকে একবার প্রদক্ষিণ করে এবং সূর্য নিজের অক্ষে নিজস্ব গতিতে ঘূর্ণায়মান। 

    আরও পড়ুন: পৃথিবীর ঘূর্ণন দ্রুত গতিতে বাড়ছে, ছোট হচ্ছে রাত-দিন

    সূর্য প্রায় ২৫ দিনে একটি আবর্তন সম্পন্ন করে। তবে পৃথিবীর সাপেক্ষে সূর্যের অবস্থান প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হতে থাকায় আমরা এই আবর্তন বেগের মান পাই ২৮ পার্থিব দিন। দেখা যাচ্ছে সূর্যের নিজ কক্ষের চারদিকে আবর্তন বেগ খুবই কম, এই ঘূর্ণন বেগ থেকে যে কেন্দ্রাতিগ বলের সৃষ্টি হয় তা সূর্যের পৃষ্ঠ অভিকর্ষের তুলনায় ১৮০ লক্ষ ভাগের এক ভাগ।

    আমি আমার অসীম ক্ষমতাবলে নির্মাণ করেছি মহাসম্প্রসারণশীল মহাকাশ।(সূরা যারিয়াত, আয়াতঃ ৪৭)।বিংশ শতাব্দীর প্রাথমিক যুগে রুশ পদার্থবিজ্ঞানী আলেকজান্ডার ফ্রিডম্যান ও বেলজিয়ামের বিজ্ঞানী জর্জেস লেমেট্রে তাত্ত্বিকভাবে বিশ্লেষণ করে জানান যে মহাকাশ সম্প্রসারণশীল, প্রতিনিয়তই এটি সম্প্রসারিত হচ্ছে।

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    নবীনতর পূর্বতন

    যোগাযোগ ফর্ম