বিশ্বে প্রথম চাঁদের চারপাশে ঘুরবেন টিটো! ইলন মাস্কের স্টারশিপে চড়ে

    বিশ্বে প্রথম চাঁদের চারপাশে ঘুরবেন টিটো! ইলন মাস্কের স্টারশিপে চড়ে
    টিটো ও তার স্ত্রী ছবি।

    ওয়েস্টার্ন ডেটা সায়েন্স: 
    বিশ্বের প্রথম মহাকাশ পর্যটক এবার ইলন মাস্কের স্টারশিপে চড়ে চাঁদের চারপাশে ঘুরবেন। ২১ বছর আগে ৮২ বছর বয়সী ডেনিস টিটো আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে খুব ছোট্ট করে ভ্রমণ করেছিলেন। এবার স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে চাঁদের চারপাশে চরকিপাক খাবেন।আর একটি অ্যাডভেঞ্চারের জন্য সাইন আপ করলেন বিশ্বের প্রথম মহাকাশ পর্যটক।

    এবার চাঁদের চারপাশে চরকিপাক খাবেন টিটো ও তার স্ত্রী

    ছোট্ট এই ট্রিপ যেন তাঁর স্পেস ট্যুরের আগ্রহ আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল।২১ বছর পর সেই স্বপ্নপূরণ হতে চলেছে। টিটোর সপ্তাহব্যাপী মুনশট তাঁকে চাঁদের দূরবর্তী ২০০ কিলোমিটারের কাছাকাছি নিয়ে আসবে। টিটো শুধু একা নন তার সঙ্গে থাকবেন তাঁর স্ত্রী আকিকো সহ মোট ১০ জন। চাঁদের চারপাশে যাত্রার জন্য তাঁরা সকলেই মোটা টাকা খরচ করতে ইচ্ছুক।তবে টিটো সহজ সত্যটি আগেভাগেই অনুধাবন করতে পেরেছেন। 

    তিনি বুঝতে পেরেছেন যে, স্টারশিপের জন্য মহাকাশে পৌঁছনোর প্রথম প্রচেষ্টার আগে এখনও অনেক পরীক্ষা এবং উন্নয়ন বাকি রয়েছে। মিশনের জন্য যদি এতটা ছোটাছুটি না করতে হত তাহলে আমি একটি রকিং চেয়ারে বসে থাকতে পারতাম। কোনও ভাল ব্যায়াম করার দরকার হত না অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেছেন টিটো।২০০১ সালে মহাকাশ পর্যটনের সূচনা করেছিলেন টিটো। তিনিই প্রথম ব্যক্তি, যিনি মহাকাশে তাঁর নিজস্ব উপায়ে অর্থ ব্যয় করে এবং নাসার সঙ্গে বিরোধিতাও করেন। 

    আরও পড়ুন: নারী স্বাধীনতার নয়া ধাপ, ২০২৩ এ নারী নভোচারীকে মহাকাশে পাঠাবে সৌদি আরব

    কারণ ইউএস স্পেস এজেন্সি চায়নি যে, স্টেশনটি তৈরির সময় কোনও দর্শনার্থী ঝুলে থাকুক। কিন্তু রাশিয়ান স্পেস এজেন্সির নগদ অর্থের প্রয়োজন ছিল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক স্পেস অ্যাডভেঞ্চারের সহায়তায় ২০০০ সাল নাগাদ স্টেশনে ধনী ক্লায়েন্টদের একটি স্ট্রিং চালু করা হয়েছিল।টিটো আর বলছিল যে, গত বছর অগস্টেই তিনি এবং তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে স্পেসএক্সের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।এখন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে একটি ফ্লাইটের বিকল্প অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ইনজেনুইটি হেলিকপ্টারের পা ধরে রেখেছে নাকি এলিয়েন! এমনি তথ্য মঙ্গল গ্রহ নিয়ে

    টিটোর তখন ৮৭ বছর বয়স হবে এবং তাঁর স্বাস্থ্য খারাপ থাকলে এই ভ্রমণ থেকে তিনি বেরিয়েও যেতে চান।জন গ্লেন প্রথম আমেরিকান যিনি পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করেন এবং এখনও পর্যন্ত তিনি কক্ষপথে সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি হিসেবে রেকর্ডটি ধরে রেখেছেন।তাঁর বয়স ছিল মাত্র ৭৭। কিন্তু সেই বয়সেও তিনি একজন যুবক ছিলেন। আমি তাঁর চেয়ে ১০ বছরের বড় হতে পারি কিন্তু ক্ষমতার দিক থেকে তাঁর থেকে কোনও অংশে কম না বললেন টিটো।

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    নবীনতর পূর্বতন

    যোগাযোগ ফর্ম