সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তি কি?

     

    সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তি কি
    সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তি

    প্রযুক্তি ও ব্যাখ্যা

     প্রযুক্তি বলতে কোন একটি প্রজাতির বিভিন্ন যন্ত্র এবং প্রাকৃতিক উপাদান প্রয়োগের ব্যবহারিক জ্ঞানকে বোঝায়। নিজের প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে প্রজাতিটি কেমন খাপ খাওয়াতে পারছে এবং তাকে কিভাবে ব্যবহার করছে তাও নির্ধারণ করে প্রযুক্তি। মানব সমাজে প্রযুক্তি হল বিজ্ঞান এবং প্রকৌশলের একটি আবশ্যিক ফলাফল।

    প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে যেভাবে প্রভাবিত করে

    বন্ধুরা মৃত্যু এমন একটি সত্য যা কোনো মানুষই গ্রহণ করতে চায় না । এবং এর জন্যই মানুষ প্রতিনিয়ত মৃত্যু থেকে কিভাবে রক্ষা পাওয়া যায় তার উপায় খুঁজে চলেছে । আমাদের আজকের আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান তারই ফলাফল কিন্তু মানুষ এই পর্যন্ত সন্তুষ্ট নয় । সে চায় সে যেন অনেকদিন বাঁচো এবং অমর হয় ।তো বন্ধুরা চলুন জেনে আসে এমন পাঁচটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে মানুষ এটি অর্জন করতে পারবে ।

    সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তি

    আধুনিক প্রযুক্তির তিনটি উদাহরণ হলো কম্পিউটার, ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন।

    ১। Nanobost

    সেদিন দূরে নয় যেদিন মানুষের শরীরের ভেতর খাবারের মাধ্যমে  Nanorobot ঢোকানো হবে | এই রোবট গুলো আপনার শরীরে প্রবেশ করে আপনার শরীরে থাকা রোগবালাই খুঁজে বের করবে এবং তার চিকিৎসা ও করবে । কিছু এক্সপার্ট এটাও বলেছে যে আমরা মানুষের শরীরে ছোট ছোট ন্যানো মেশিন ইঞ্জেক্ট করতে পারব । এগুলো আমাদের শরীরের ভেতর একটি ফার্মাসিটিক্যাল ল্যবের এর মত কাজ করবে ।

     তো একবার চিন্তা করে দেখুন যে কোন রোগ আপনার শরীরে প্রবেশ করার আগেই তার চিকিৎসা হয়ে যাবে । আপনি কখনো অসুস্থ হবেন না এর থেকে ভালো সংবাদ আর কি হতে পারে । কিছু এক্সপার্টরা এটাও মনে করে যে একটি সমস্যার সমাধান হয়ে গেলে আর একটু সমস্যার উৎপত্তি হয় ।

     আমাদের শরীরের কোষ তৈরি হওয়ার একটি চক্র থাকে । যদি আমরা সবগুলোকে কোষ শক্তিশালী করে দেই তাহলে যেসব ক্যান্সার রোগ বহন করে সেগুলো শক্তিশালী হয়ে যাবে । এবং এতে মহামারী রূপ ধারণ করবে ।

    ২। Crayonics

     Crayonics এমন একটি পদ্ধতি যেখানে একজন মানুষকে ঠান্ডা তাপমাত্রা ব্যবহার করে একটি ডিপ ফ্রিজে রাখা হয় । আসলেই এই ডিপ ফ্রিজে বিশেষভাবে উপকরণ দিয়ে বানানো হবে । যার মাধ্যমে এর ভিতরে থাকা ব্যক্তিদের উপর নজর রাখা হবে এবং তাকে জীবিত রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ক্যালরির শরীরে পৌঁছে দেয়া হবে ।

    এই চিন্তা ধারা সেইসব প্রাণী থেকে নেয়া হয়েছে যেসব প্রাণীরা কয়েক মাস বা বছর পর্যন্ত ঘুমিয়ে থাকে । এবং নিজের শরীরের বায়োলজিক্যাল ক্লক ধীরগতি করে মাসের-পর-মাস জীবিত থাকে । এবার চিন্তা করুন যদি আমাদের মেডিকেল সাইন্স বিকাশ হয়ে যায় যে আমরা টেকনিকে বাস্তবায়ন করতে পারব তাহলে আমরা হাজার বছর জীবিত থাকতে পারবো ।

    ৩। Cloning Organs

    আপনি হয়তো এমন অনেক মানুষ দেখেছেন যারা নিজেদের ভাঙ্গা হাত পা নিয়ে জীবন কাটাচ্ছে । কিন্তু ভবিষ্যতে এমন অবস্থা থাকবে না । কারণ মানুষ খুব দ্রুত এমন কিছু টেকনিক আবিষ্কার করছে যার মাধ্যমে হারিয়ে ফেলার শরীরের অঙ্গ কে পুনরায় তৈরি করা যাবে ।

    এবং এক্ষেত্রে বিজ্ঞানীরা খুব ভালো পর্যায় সফলতা পেয়েছে তারা কান, হাড্ডি এবং স্কিন কে পুনরায় গোরো করে নতুন আশার আলো জ্বালিয়েছে । যেদিন আমরা এটা সম্পূর্ণ সফলতা পাব সেদিন এই পৃথিবীতে আর কোন প্রতিবন্ধী থাকবে না ।

    আরও পড়ুন: ৫৮০ বছরে দীর্ঘতম খণ্ডগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ শুক্রবার, দেখা যাবে না আর এই শতাব্দীতে । Longest Lunar Eclipse


    সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তি
    আধুনিক প্রযুক্তি গড়ে উঠেছে

     ৪। Regenerative Blood Transfusion

    রিজেনারেটিভ ব্লাড ট্রান্সফিউশন যেকোনো কঠিন বা অসম্ভব মনে হয় এমন আবিষ্কারের কোন চিন্তাধারা যখন মানুষের সামনে উপস্থাপন করা হয় । তখন মানুষ এটিকে পাগলামি বা মুখতা কথা মনে করে । 

    মানুষ বিশ্বাস তখন করে যখন সেই কল্পনাকে বাস্তবে রূপান্তর করা হয় । এমনই একটি চিন্তা ধারা যেটি আপনার কাছে হয়তো কোন মুভির কাহিনী মনে হবে । সেটি হলো মানুষের আয়ু বাড়ানোর জন্য তার শরীরের নতুন রক্ত প্রদান করা ।

     বিজ্ঞানীরা  একটি রিচার্ড অবজাব করেছে যে, জি ডি এফ  11 নামক একটি প্রোটিন বৃদ্ধির ইদুরে তুলনায় যুবক ইদুরে বেশি পাওয়া যায় ।এই প্রোটিন হাড় মাংস পেশী এবং হৃদপিন্ডের শক্তি বাড়ায় ।

     আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে বড় গাড়ি যা লম্বায় ১০০ ফুট

    যদি এই প্রোটিন কৃতিম রক্ত সাথে মিশিয়ে মানুষের শরীরলে সঠিকভাবে প্রদান করা যায় । তাহলে আমাদের আয়ু ১০ থেকে ২০ বছর বেড়ে যাবে । কিন্তু এটা এত সহজ নয় এই চিন্তা ধারাকে বাস্তবে রূপ দিতে হলে আরো কয়েক বছর রিচার্জ করতে হবে ।

    ৫।Living In Android Body

     লিভিং ইন অ্যান্ড্রয়েড বডি কিছু এক্সপার্টরা মনে করেন যে Human  ব্রেইনে ম্যপিং করা সম্ভব । যদিও আমাদের ব্রেইনে ১০০ বিলিয়ন নিউরন থাকে । এত বেশি জটিল কানেকশনের প্রতিকৃতি বানানো অনেক বেশি কঠিন । কিন্তু  ন্বষ্যতে যদি আমরা এমন টা করতে পারি তাহলে আমরা যে কোন ব্যক্তির ব্রেইনকে অন্য কোন বাড়িতে বারোটা স্থানান্তর করতে পারব । 

    এবং যদি আমরা মানুষের ব্রেনের মধ্যে কম্পিউটার বানাতে পারি তাহলে এই ব্রেইনকে আমরা বছরের পর বছর সুরক্ষিত রাখতে পারব । কিন্তু কিছু সাইন্টিস্ট মনে করে যে আমরা এই ব্রেইন কে সচল রাখতে পারলেও আমাদের অনুভূতির জন্য কোন কোচিং করতে পারব না । তাই যদি আমরা এমন টা করেই ফেলি তাহলে সেটা শুধুমাত্র স্মৃতি সমৃদ্ধ একটি রোবটই হবে ।  

     সাথেই থাকুন ধন্যবাদ ।

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    নবীনতর পূর্বতন

    যোগাযোগ ফর্ম