চীনের মহাকাশ স্টেশন

    চীনের মহাকাশ স্টেশন
    চীনের মহাকাশ স্টেশন


    হ্যালো বন্ধুরা চীন গতকালকে লংমার্চ  5 b  রকেটে করে একটি মডিউল কে মহাকাশ স্টেশনের কক্ষপথকে পাঠিয়ে দিয়েছে ।সেই মহাকাশ স্টেশন মানে চীনের টিয়ান হে বলে মহাকাশ স্টেশনটি সম্পর্কে আমি বিস্তারিত জানাতে চলেছি । টিয়ান হে মডিউলে রয়েছে নভচারীদের থাকার জন্য রয়েছে ঘর । চীনের উচেং উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে লংমার্চ 5 b নামের রকেটের মাধ্যমে মহাকাশ স্টেশন উৎক্ষেপণ করা হয়েছে ।

    গতকাল ভারতীয় সমাজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে । চীন আশা করছে তাদের নতুন মহাকাশ কেন্দ্র টি ২০২২ সালের মধ্যেই কাজ করতে শুরু করবে । তার মানে এটা ২০২১ চলছে এই এক বছরের মধ্যে কিন্তু তৈরি করে ফেলবে সম্পূর্ণ সিএনএস এর তরফ থেকে জানা গিয়েছে । মহাকাশে এখন একমাত্র একটি স্পেস স্টেশন আছে যেটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন নামে আমরা জানি ।

    যেটা চীন কে ব্যবহার করতে দেয়া হয় না । তার কারণ একটি অভিযোগ আছে তাদের নামে তারা নাকি তথ্য চুরি করেছিল সেই জন্য তাদের বহিস্কৃত করা হয়েছিল । মহাকাশ অভিযানের ক্ষেত্রে চীন কার্যক্রম শুরু করেছে বেশ দেরিতে মাত্র ২০০৩ সালে । প্রথম চীন তার নভোচারী কে কক্ষপথে পাঠায় । চীন তখন ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ অভিযানের তৃতীয় দেশ ।

    এখনো পর্যন্ত চীন মহাকাশের কক্ষপথে এর আগে পাঠিয়েছিলে দুটি স্পেস স্টেশন । টিয়ানগন ১ এবং টিয়ানগন ২ ।এদুটি ছিল পরীক্ষামূলক মহাকাশ স্টেশন । এগুলো খুবই ছিল সাদামাটা ধরনের মডিউল । এখানে নভচারীদের তুলনামূলক ভাবে অল্প সময় জন্য থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল । বর্তমানের নতুন এই যে স্টেশন টিয়ান হে সে স্টেশনটি ওজন হচ্ছে ৬৬ টন ।

    এবং এর অনেকগুলো মডেল রয়েছে । এই স্টেশন কাজ করতে পারবে অন্তত দশ বছর । মানে ২০২২ সালে শুরু হয় ২০৩২ বা ৩৩ পযন্ত । তবে তাকে স্টেন করা যেতে পারে টিয়ান ১ হে  হল এই যে নতুন মহাকাশ স্টেশন তার মূল অংশ ।এটির দৈর্ঘ্য ১৬ দশমিক ৬ মিটার এবং প্রস্থ হচ্ছে ৪.২ মিটার আর এর ওজন হচ্ছে ২২৬০০ কিলোগ্রাম । এই মডিউল মহাকাশ স্টেশনে শক্তি সরবরাহ করবে এবং স্পেস স্টেশন থেকে কক্ষপথে ঘোরাবে ।

    নভোচারীদের থাকার ব্যবস্থা এবং জীবনরক্ষার প্রযুক্তি ও থাকবে এই মডিউলে । চীন অন্তত আরও দশটি একই ধরনের উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা রয়েছে । যেগুলোর মাধ্যমে কক্ষ্যপথে অতিরিক্ত যন্ত্রপাতিও আরো ছোট ছোট মডিউল পাঠানো হবে । তাদের পরিকল্পনা হলো আগামী বছরের মধ্যে স্টেশন চালু করার কাজ সম্পন্ন করা ।স্টেশনটি ৩৪০ থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দূরত্বে পৃথিবীর কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করবে ।

    তার মানে আমাদের যে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন আছে সেটি ৩৮০ থেকে ৪১০ কিলোমিটারের কক্ষপথ প্রদক্ষিণ করে । এটি কিন্তু তার থেকেও দূরে যাবে তাই কখনো টক্কর থাকছে না । কক্ষপথে প্রদক্ষিণকারী একমাত্র মহাকাশ স্টেশন আই এস ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন তৈরি হয়েছিল রাশিয়া, আমেরিকা ,কানাডা ও ইউরোপ এবং জাপানের সমন্বিত উদ্যোগে । 

    আরও পড়ুন: ভারত, আমেরিকা বা ইউরোপে মহাকাশ স্টেশন ভেঙে পড়তে পারে: হুমকি রাশিয়ার


    চীনের মহাকাশ স্টেশনের ভিতরে
    চীনের মহাকাশ স্টেশনের ভিতরে

    আরও পড়ুন: স্পেস স্টেশনে মহাকাশচারীরা ওজনহীন কেন?

    চীন কে এই উদ্যোগের অংশ নিতে দেখা যায়নি । আই এস এসের ২০২৪ সালে অবসর নেওয়ার কথা ছিল কিন্তু আপাতত সেটি নেবে না । তবে এই যে টিয়ান হে স্টেশন সেটি কিন্তু এই আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন যতদিন কাজ করবে তার থেকেও বেশি দিন কাজ করার কথা । এই টিয়ান হে পুরোপুরি চালু হয়ে যাবে তখন তারা বর্তমান আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের চেয়ে আকারে ছোট । 

    মহাকাশযান যেটি রয়েছে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন সেটি একটি ফুটবল মাঠের সমান । তবে এই টিয়ান হে হবে তার হাফের থেকে সামান্য একটু ছোট । তাদের স্টেশনটি হবে পৃথিবীর কক্ষপথে কিন্তু একমাত্র স্পেস ল্যাব মানে চীন । চীন মঙ্গল গ্রহ অভিযান নিয়ে কাজ করছে । এবং রাশিয়ার সাথে একটি চাদেঁ মহাকাশ স্টেশন তৈরি করবে আগামী দিনে । চীন ইদারিং মহাকাশ করমসূচিতে অনেক অথ ব্যয় করেছে ।

    আর এই যে মহাকাশ স্টেশন বানাচ্ছে বা বানানো হয়ে গিয়েছে এবং কমপ্লিট করেছে । এতে আনুমানিক যে খরচা আমাদের কাছে ইনফরমেশন এসেছে তাতে ভারতীয় মূল্য প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচা হচ্ছে । এটা আনুমানিক একটু কম একটু বেশি হতে পারে । তবে বেশি হওয়ার সম্ভাবনা মানে মূলত বেশি থাকছে । আর চীন সাধারণত এর অর্থ জানায় না আমাদেরকে । অন্যান্য গবেষণা সংস্থার সঙ্গে কম্পেয়ার করে তার একটা আনুমানিক মূল্য ধারণ করে নিতে হয় । সেই হিসেবে দাঁড়াচ্ছে  ৪০ হাজার কোটি টাকার মতো ভারতীয় মূল্যে । 

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    নবীনতর পূর্বতন

    যোগাযোগ ফর্ম