আধুনিক সভ্যতা কী ভাবে বিলুপ্ত হয়েছিল তার তথ্য ধরে রাখতে বসছে প়়ৃথিবীতে ব্ল্যাক বক্স, Black Box

     

    আধুনিক সভ্যতা কী ভাবে বিলুপ্ত হয়েছিল তার তথ্য ধরে রাখতে বসছে প়়ৃথিবীতে ব্ল্যাক বক্স, Black Box
    প়়ৃথিবীর ব্ল্যাক বক্স


    ব্ল্যাক বক্স

    পৃথিবীর শেষের সে দিন গুলিতে কি কি ঘটনা ঘটেছিল । তা যদি কোনও পরবর্তী প্রজন্ম বা সৌরমণ্ডলেরভিন্‌ মুলুক থেকে আসা কেউ কখনো যাতে জানতে পারেন ।তার জন্য অস্ট্রেলিয়ার টাসমানিয়া দ্বীপে বসানো হচ্ছে বিশাল আকারের একটি ব্ল্যাকবক্স ।

     যা কিন্তু কোনোভাবেই ধ্বংস করা সম্ভব নয় ।একেবারে বিমানের ব্ল্যাক বক্স এর মত । বিমান ভেঙে পড়লে যেমন সেই ব্ল্যাক বক্স ভেঙে জানা যায় শেষ মুহূর্তে কি কি নির্দেশ দিয়েছিল । গ্রাউন্ড কন্ট্রোল বা পাইলটের সঙ্গে গ্রাউন্ড ঠিক কি কি কথা-বার্তা হয়েছিল ।

     কিভাবে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়েছিল বিমানটিকে আর কেনই বা বাঁচানো যায়নি । সেই রকম পৃথিবীর সেই ব্ল্যাক বক্স এর ওয়েবসাইট জানিয়েছে । আগামী ২০২২ সাল এর গোড়ার দিকে টাসমানিয়ার কোন একটি দুর্গম জায়গায় বসানো হবে ।সেই বিশাল আকারের ব্ল্যাকবক্স ।

    যা ইতিমধ্যেই বানিয়ে ফেলা হয়েছে পুরু ইস্পাত দিয়ে । তবে ঠিক কোথায় সেটিকে বসানো হবে তা কিন্তু গোপন রাখা হবে । পৃথিবীতে ষষ্ঠ গণবিলুপ্তি রুখতে বিজ্ঞানীরা যা ব্যবস্থা নিচ্ছেন । উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনে গতিতে লাগামের ও পরানোর জন্য ।

    আর তার প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়াচ্ছে যেসব রাষ্ট্রনেতার কর্মকাণ্ড প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত । তার যাবতীয় রেকর্ড একেবারে রিয়েল-টাইমে ধরা থাকছে  সেই ব্ল্যাক বক্সের । যার কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে ।সৌরশক্তিতে চলা হার্ডড্রাইভ গুলি দিয়ে । যা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে বেশ কয়েক বছর আগেই বসানো হয়েছে । খুব গোপনে যাতে কাকপক্ষীও টের না পায় ।

    আরও পড়ুন: ইতিহাসে প্রথমবার পার্থিব কোনও যন্ত্রে ধরা পড়ল ভূতুড়ে কণা নিউট্রিনো।Ghost Particle

    পৃথিবীর এই ব্ল্যাকবক্সটি বানিয়েছে টাসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও আরও দুটি সংস্থা ক্লেমেঙ্গার বিবিডিও এবং দ্য গ্লু সোসাইটির সহযোগিতায় । ব্ল্যাক বক্সের ওয়েবসাইট জানিয়েছে উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য প্রাণী ও উদ্ভিদের কোন কোন প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে । 

    আরও পড়ুন: চীন স্থান না দেওয়ায় বিটকয়েন বিভিন্ন দেশের বাতাসে বিষ ছড়াচ্ছে,জানাল গবেষণায়

    কি হারে বেড়ে চলেছে পরিবেশ দূষণের মাত্রা । আর সেইসব এর কি কি প্রভাব পড়ছে এই প্রজন্মের মানুষের স্বাস্থ্যের । অর্থনীতিতে সেসব তথ্য এতে ধরা থাকবে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে । বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে পৃথিবীর এই ব্ল্যাক বক্স বানানো হয়েছে অনেকটা নরওয়ের সেই ডুম্‌সডে ভল্ট-এর আদলেই ।

    যেখানে পৃথিবীর শেষের সে দিনের জন্য বানিয়ে রাখা হয়েছে একটি সুবিশাল দুর্গ ।যার ভিতরে মজুদ করা হয়েছে বিপুল পরিমাণে নানা ধরনের শস্য বীজ । আর নিয়মিতভাবে সেখানে প্রয়োজনীয় শস্য বীজের সংরক্ষণ করা হচ্ছে । যাতে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে মহাসাগর গুলোর উপরিতল উঠে আসায় বিভিন্ন দেশ মহাদেশ জলমগ্ন হয়ে পড়লে শস্য উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ না হয়ে গিয়ে সভ্যতার একাংশকে অন্তত অনাহারের হাত থেকে কিছুটা হলেও বাঁচানো যায় । সেই উদ্দেশ্য নিয়েই পৃথিবীতে ব্ল্যাকবক্সটি বসানো হয় । আশা করি এই তথ্যমূলক পোষ্টি আপনাদের ভাল লেগেছে । সঙ্গে থাকবেন  লাইক শেয়ার অবশ্যই করবেন ।

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    নবীনতর পূর্বতন

    যোগাযোগ ফর্ম