এবার মঙ্গলে ফুল ফোটাল নাসার রোভার

    এবার মঙ্গলে ফুল ফোটাল নাসার রোভার
    লাল গ্রহের বুকে সদ্য আবিষ্কৃত এই পদার্থটির নাম দেওয়া হয়েছে ব্ল্যাকথর্ন সল্ট ছবি।


    হ্যালো বন্ধুরা,ফুল ফুটল লাল গ্র রু‌খুসুখু মঙ্গলে।ফোটাল মঙ্গলের বুকে ঘুরে বেড়ানো নাসার রোভার কিউরিওসিটি।গত সপ্তাহে মঙ্গলের বুকে বহু দূর থেকে সেই ছবি তুলেছে কিউরিওসিটি রোভারের ক্যামেরা।আদ্যোপান্ত ফুলের মতো দেখতে সেই বস্তুটি কোনও জৈব পদার্থ কি না। তা নিয়েও সংশয় আপাতত দূর হয়নি বিজ্ঞানীদের। তবে নাসার রোভার বহু দূর থেকে তোলা সেই ছবি খতিয়ে দেখে জানিয়েছে।

    মঙ্গলে থাকা কোনও খনিজ পদার্থই চেহারায় ফুল হয়ে উঠতে পারে লাল গ্রহের বুকে। তা কোনও একটি খনিজ পদার্থের না হয়ে এমন ধরনের কয়েকটি পদার্থের মিশ্রণও হতে পারে। যা আকারে ত্রিমাত্রিক কেলাসের মতো। বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাদের বলা হয় ডায়াজেনেটিক ক্রিস্টাল ক্লাস্টার।

    বিজ্ঞানীদের কারও কারও ধারণা যে, মঙ্গলে তো বহু কোটি বছর আগে তরল জলের স্রোত বইতই। ছিল বড় বড় নদীনালা এমনকি জলপ্রপাতও। সেই জলের ভিতরে থাকা পদার্থই নীচে থিতিয়ে পড়ে হয়তো হয়েছিল এমন কিছু খনিজ পদার্থ। এই ফুলও তেমনই কয়েকটি খনিজ পদার্থের মিশ্রণ হতে পারে।

    আরও পড়ুন: ভারত, আমেরিকা বা ইউরোপে মহাকাশ স্টেশন ভেঙে পড়তে পারে: হুমকি রাশিয়ার

    কিউরিওসিটি রোভারের ডেপুটি প্রোজেক্ট সায়েন্টিস্ট অ্যাবিগেল ফ্রেম্যান তাঁর টুইটে লিখেছেন যে, এই ফুল এক ধরনের লবণ দিয়েও তৈরি হতে পারে যাদের সালফেট বলা হয়। পৃথিবীতেও এই সালফেট জাতীয় লবণ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে।বিজ্ঞানীদের একাংশের ধারণা যে, এই লবণগুলি হয়তো ছিল কোনও পাথরের গায়ে বা খাঁজে আটকে। 

    আরও পড়ুন: চাঁদে দুটি বড় কাঁচের গোলক কোথা থেকে এলো?কৌতূহলে বিজ্ঞানীরা

    কোটি কোটি বছরে সেই পাথর ক্ষয়ে গিয়ে বিলীন হয়েছে। কিন্তু এই লবণগুলির কোনও ক্ষয় হয় না বলেই সেগুলি টিকে গিয়েছে।লাল গ্রহের বুকে সদ্য আবিষ্কৃত এই পদার্থটির নাম দেওয়া হয়েছে ব্ল্যাকথর্ন সল্ট। নাসার রোভারের ভিতরে থাকা মার্স হ্যান্ড লেন্স ইমেজার মাহ্‌লি যন্ত্রেই ধরা পড়েছে তার ছবি।

    ধন্যবাদ বন্ধুরা 

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    নবীনতর পূর্বতন

    যোগাযোগ ফর্ম