মহাকাশে লেটুস পাতার ফলন ! ভাল রাখবে নভশ্চরদের হাড়ের গঠন

    মহাকাশে লেটুস পাতার ফলন ! ভাল রাখবে নভশ্চরদের হাড়ের গঠন


    বন্ধুরা চলে এলাম আপনাদের নতুন কিছু তথ্য দিতে, মহাকাশে শাকসবজির ফলন এর আগেও করেছেন বিজ্ঞানীরা।এবার নতুন এক গবেষণায় জানা গিয়েছে যে, স্পেস লেটুস মহাকাশচারীদের হাড়ের গঠন সুদৃঢ় করতে সহায়তা করবে। যখন দীর্ঘ সময়ের জন্য নভশ্চররা মহাকাশে অভিযানে যাবে।তখন তাঁদের হাড়ের ক্ষয় রুখতে সাহায্য করবে এই স্পেস লেটুস। এমনিতেও লেটুসের খাদ্যগুণ অনেক। এবার সেই সমস্ত গুণাগুণ খেল দেখাবে মহাকাশেও।ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ডেভিস এর গবেষকরা লেটুসের একটি পরীক্ষামূলক স্ট্রেন পর্যবেক্ষণ করে জানিয়েছেন যে, যাঁরা অনেকদিন মহাকাশে থাকেন তাঁদের হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল করতে এই লেটুস পাতা সাহায্য করবে। 

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, কিছু গবেষণায় বলা হয়েছে মহাকাশে থাকাকালীন প্রতি মাসে নভশ্চরদের কিছু হাড়ের ভরের প্রায় ১ শতাংশ ক্ষয় হয়। মহাকাশের দিনের পর দিন থেকে গবেষণার কাজ করা সত্যিই কঠিন ব্যাপার। তাই মহাকাশে উড়ে যাওয়ার আগে নভশ্চরদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের অনেক ব্যাপারেই খুঁটিনাটি খেয়াল রাখা প্রয়োজন।মহাকাশে অভিযানে যাওয়ার আগে কঠিন ট্রেনিং চলে নভশ্চরদের। নিজেদের ওজন কম রাখার জন্য রীতিমতো কসরৎ করতে হয় তাঁদের। তবে এমন কয়েকটি ব্যাপার রয়েছে যা নভশ্চরদের হাতে থাকে না। 

    ফলে সেইসব নিয়ন্ত্রণ করাও সম্ভব নয়। আর এইসবের প্রভাব সরাসরি পড়তে পারে নভশ্চরদের স্বাস্থ্যে। যেমন মহাকাশে মাইক্রোগ্র্যাভিটির কারণে হাড়ের গঠন দুর্বল হয়ে যায়। ক্ষয় হতে পারে হাড়ের ভর। আর পৃথিবীতে ফিরে আসার পরে সেটা স্বাভাবিক জায়গায় আসতে বেশ কিছুটা সময় লাগে। নাসার তরফে আবার বলা হয়েছে মহাকাশ অভিযান জিনের উপরেও প্রভাব ফেলতে পারে। আর এর থেকেই প্রভাব পড়তে পারে হাড়ের স্বাস্থ্যেও। তবে এইসব প্রভাব এরানোর জন্য নভশ্চররা নিয়মিত শরীরচর্চা করে থাকেন।

    সম্প্রতি স্পেস লেটুস সংক্রান্ত যে গবেষণা ও আবিষ্কার হয়েছে সেটা আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটির একটি মিটিংয়ে প্রকাশ করা হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছে যে, স্পেস লেটুস এর থেকে এমন একটি ওষুধ পাওয়া সম্ভব যার মধ্যে হিউম্যান প্যারাথাইরয়েড হরমোন (PTH) পেপটাইড -এর একটি টুকরো থাকে। আর সেটাই মহাকাশেও নভশ্চরদের হাড়ের গঠন ঠিক রাখতে সাহায্য করে। বৈজ্ঞানিকরা আরও বলছেন যে, নভশ্চররা দীর্ঘ সময়ের জন্য মহাকাশে থাকলে তখন বাইরে থেকে তাঁদের শরীরে পিটিএইচ ইনজেক্ট করা বা ঢোকানো এবং তার সাহায্যে হাড়ের ক্ষয় রোধ করা বিশেষ উপযুক্ত পথ নয়।


    এবার লেটুস পাতার ফলন মহাকাশে

    আরও পড়ুন: চাঁদে যা অক্সিজেন সঞ্চিত রয়েছে, তা প্রায় ৮ বিলিয়ন মানুষ কে এক লক্ষ বছর ধরে অক্সিজেন দেওয়া যাবে

    বিশেষ করে মঙ্গলগ্রহের ক্ষেত্রে এইসব উপায় একেবারেই কার্যকর নয়। তবে সেখানে এই বিশেষ ধরনের লেটুস পাতা ফলন করে এবং তা খেয়ে হাড়ের গঠন এবং স্বাস্থ্য সঠিক ও সুদৃঢ় রাখা সম্ভব। মহাকাশচারীরা এই লেটুস ফলানোর জন্য ট্রান্সজেনিক বীজ সঙ্গে নিয়েই মিশনে যেতে পারবেন।কারণ এই বীজ খুবই ছোট হয় আকার আয়তনে। মানুষের হাতের বুড়ো আঙুলের আয়তনের একটি ভায়ালের মধ্যে হাজার খানেক বীজ তো অনায়াসেই এঁটে যাবে। আর এই লেটুস পাতা ফলানোও সহজ একদম সাধারণ লেটুস পাতার মতোই। সোমেন নন্দী নামের এক কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এই তথ্য দিয়েছেন। 

    আরও পড়ুন: ভারত, আমেরিকা বা ইউরোপে মহাকাশ স্টেশন ভেঙে পড়তে পারে: হুমকি রাশিয়ার

    ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের পৃথিবীর মতো লেটুস পাতা ফলিয়েছেন নভশ্চররা। এমনিতে মহাকাশে অভিযানের সময় প্যাকেটজাত খাবারের উপরেই নির্ভরশীল থাকেন নভশ্চররা। এই তালিকায় থাকে ফল, বাদাম চকোলেট, পিনাট বাটার, চিকেন ও আরও অনেক কিছু। কিন্তু লেটুসের ফলন আগামী দিনে মহাকাশে অন্যান্য ফসল ফলনেরও ইঙ্গিত দেয়।

    ধন্যবাদ বন্ধুরা  

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    নবীনতর পূর্বতন

    যোগাযোগ ফর্ম