গোল্ডেন পয়জ়ন ফ্রগ ব্যাঙ ১০ জন মানুষকে মুহুতে শেষ করে দিতে পারে, দাবি গবেষকদের

    গোল্ডেন পয়জ়ন ফ্রগ ব্যাঙ ১০ জন মানুষকে মুহুতে শেষ করে দিতে পারে, দাবি গবেষকদের
    গোল্ডেন পয়জ়ন ফ্রগ ব্যাঙ ছবি ১।


    ওয়েস্টার্ন ডেটা সায়েন্স: বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত প্রাণীর বসবাস এই পৃথিবীতে। বিষধর সাপের কথা আমরা শুনেছি  দেখেওছি।আপনারা কি বিষাক্ত ব্যাঙের কথা কখনও শুনেছেন? হ্যাঁ পৃথিবীতে এমনই এক প্রজাতির ব্যাঙ রয়েছে যা দেখতে খুব সুন্দর হলেও, সেই সৌন্দর্যই ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করতে পারে যে কোনও সময়। 

    বিশ্বের সবচেয়ে বিষাক্ত ব্যাঙ কোনটি?

    এই ব্যাঙগুলিকে বলা হয় গোল্ডেন পয়জ়ন ফ্রগ। সাধারণত এরা দুই ইঞ্চির বা তার থেকে সামান্য কিছুটা বড় বা ছোট হয়। কিন্তু মারাত্মক দিকটি হল,তাদের মধ্যে দশটি বড় মানুষকে মেরে ফেলার মতো যথেষ্ট বিষ রয়েছে। কলম্বিয়ার শিকারী মানুষজন বহু শতাব্দী ধরে এই ধরনের ব্যাঙের বিষ ব্যবহার করে শিকার ধরে থাকে।

    ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের রিপোর্ট অনুযায়ী এই ব্যাঙগুলি কেন এতটা বিষাক্ত হয় সে বিষয়ে কোনও তথ্য নেই। তবে এদের বিষ মূলত গাছপালা এবং বিষাক্ত পোকামাকড় থেকে আসে বলে মনে করা হয়। তার কারণ হল এই ধরনের জায়গাগুলি থেকে অন্যত্র কোথাও পালিত হয় এমন ব্যাঙগুলির শরীরে বিষ থাকে না। এই ব্যাঙ এতটাই বিষাক্ত যে, এটিকে স্পর্শ করলেই মৃত্যু হতে পারে। 

    চিকিৎসা গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা এই প্রজাতির ব্যাঙগুলিকে চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের বিশ্বাস এই ব্যাঙ ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এর মাধ্যমে শক্তিশালী পেইন কিলার তৈরির চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা।এই ধরনের দাগযুক্ত ব্যাঙের ১০০টিরও বেশি প্রজাতি রয়েছে। তাদের গড় দৈর্ঘ্য এক ইঞ্চিরও বেশি। 

    বেশিরভাগ ব্যাঙের প্রজাতি কলম্বিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে রেইন ফরেস্টের একটি ছোট প্লটের মধ্যে বাস করে। এই ব্যাঙগুলি ছোট্ট ছোট্ট এলাকায় বিপুল পরিমাণে থাকতে পারে। তবে রেইনফরেস্ট ধ্বংসের সঙ্গে সঙ্গে এসব ব্যাঙের অস্তিত্বও বিলীন হওয়ার পথে।

    আরও পড়ুন: বিজ্ঞানীদের অবাক করে সন্তানের জন্ম দিল রোবট, জেনোবট কাজ করবে আমেরিকার সেনাবাহিনীতে।Xenobots

    গোল্ডেন পয়জ়ন ফ্রগ ব্যাঙ ১০ জন মানুষকে মুহুতে শেষ করে দিতে পারে,
    গোল্ডেন পয়জ়ন ফ্রগ ব্যাঙ ছবি ২।

    বিষাক্ত ব্যাঙ চিনার উপায় কি

    এই ব্যাঙের রং হলুদ, কমলা বা হালকা সবুজ হতে পারে। ভিন্ন ভিন্ন জায়গা অনুযায়ী এদের রংও ভিন্ন হয়। এই ব্যাঙ মূলত শিকারীদের তাড়াতে বিষ প্রয়োগ করতে পারে। এরা মূলত মাছি, পিঁপড়ে এবং উইপোকা খেয়েই বাঁচে।

    আরও পড়ুন: এই প্রথম বেসরকারি সেক্টর রকেট বিক্রম-এস লঞ্চ করছে ভারত

    গোল্ডেন পয়জ়ন ফ্রগদের শরীরও বিষাক্ত হয়। যে কোনও ধরনের বিপদ অনুভূত হলেই ত্বক থেকে বিষ বের হতে থাকে। আর সেই বিষ সরাসরি মানুষের ত্বকে লেগে গেলেই তার ভয়ঙ্কর প্রভাব শুরু হয়। নাড়ি সঙ্কুচিত হতে শুরু করে। এমনকি কিছু সময় পরে ব্যক্তি মারাও যেতে পারে।

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    নবীনতর পূর্বতন

    যোগাযোগ ফর্ম