মঙ্গলগ্রহে হঠাৎ ভাল্লুকের মুখের দেখা? Nasa-র ছবি দেখে হতবাক নেটদুনিয়া

    মঙ্গলগ্রহে হঠাৎ ভাল্লুকের মুখের দেখা? Nasa-র ছবি দেখে হতবাক নেটদুনিয়া
    মঙ্গলগ্রহে ভাল্লুকের মুখের ছবি।


    ওয়েস্টার্ন ডেটা সায়েন্স: লালগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে কি না, তা নিয়ে বহুদিন ধরে গবেষণা চলেছে। সেখানে নাকি ভাল্লুকের বসবাস! হ্যাঁ নাসারর অরবিটার থেকে তোলা সাম্প্রতিকতম একটি ছবি থেকে লাল গ্রহে ভাল্লুকের মুখই দেখা গিয়েছে। নাসা-র Mars Reconnaissance অরবিটার থেকে ছবিটি তোলা হয়েছে। যা মঙ্গলের চারপাশে ঘুরে চলেছে বিগত ১৭ বছর ধরে। 

    গত বছর ১২ ডিসেম্বর ছবিটি তোলা হয়েছিল। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মনে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ছবিটি।দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে অরবিটারটি মঙ্গলের কিছু হাই রেজ়োলিউশন ছবি তুলে চলেছে। অ্যারিজ়োনার টাকসনের ইউনিভার্সিটি অফ অ্যারিজ়োনা লুনার অ্যান্ড প্ল্যানেটারি ল্যাবরেটারিতে হাই রেজ়োলিউশন ইমেজিং সায়েন্স এক্সপেরিমেন্ট বা HiRISE-এ অরবিটার থেকে পাঠানো ছবিগুলিকে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।

    সত্যিই কি দেখা গেল মঙ্গলগ্রহে ভাল্লুক?

    টুইটারে যখন প্রথমবার ছবিটি শেয়ার করা হয়। নেটিজ়েনদের অনেকেই এটিকে ডজের সঙ্গে তুলনা করছিলেন। ডজ হল ইন্টারনেটের অন্যতম জনপ্রিয় মিম। যা পরবর্তীতে ক্রিপ্টোকারেন্সিও হয়। নেটপাড়ার লোকজনের মধ্যে অনেকেই আবার এই ছবির সঙ্গে পেঁচার মুখেরও মিল পেয়েছেন। কেউ কেউ আবার এ-ও বলেছেন যে, ছবিটার সঙ্গে বাচ্চাদের প্রিয় বইয়ের চরিত্র প্যাডিংটন বিয়ারের অনেকাংশেই মিল রয়েছে।

    আরও পড়ুন: গ্রহ গুলো গোলাকার হয় কেন! পৃথিবী সহ ব্রহ্মাণ্ডের সবগ্রহই গোলাকার এর কারণ কি?

    না, ওই ছবিটা ভাল্লুকের নয়। কোথা থেকে ভাল্লুক আসবে মঙ্গলে? গবেষকরা বলছেন যে, এটি আসলে একটি পাহাড় যা V আকৃতির এবং ভাল্লুকের নাকের মতো দেখাচ্ছে। ভাল্লুকের চোখ দুটো আসলে দুটো গর্ত এবং এই গর্ত দুটো তৈরি হওয়ার ফলেই এত বড় একটা সার্কুলার ফ্র্যাকচার প্যাটার্ন তৈরি হয়েছে।HiRISE গবেষকরা দাবি করেছেন যে, বৃত্তাকার ফাটলটি আসলে গর্ত দুটির ব্যাপক প্রভাবের ফলেই সৃষ্টি হয়েছে। কিছুটা ঠাট্টার ঢঙেই দ্য ইউনিভার্সিটি অফ অ্যারিজ়োনার গবেষকরা যোগ করলেন। শুধু হাসতে পারে আর সহ্য করতে পারে।

    আরও পড়ুন: পিতল কি দিয়ে তৈরি হয়? আসল পিতল চেনার উপায় কি

    কীভাবে নাসা-র এই Mars Reconnaissance অরবিটারটি কাজ করে, তা জানলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন। HiRISE-এর তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে ক্যামেরাটি দৃশ্যমান ওয়েভলেন্থে কাজ করে। ঠিক যে ভাবে মানুষের চোখ কাজ করে। তবে অরবিটারের একটা টেলিস্কোপিক লেন্স রয়েছে।যা এমনই রেজ়োলিউশনে ছবি তুলতে পারে অন্যান্য অরবিটাররা পারে না।HiRISE-এর ওয়েবসাইটে লেখা হচ্ছে যে, এই হাই-রেজ়োলিউশন ছবিগুলো গবেষকদের মঙ্গল গ্রহে ১ মিটার আকারের বস্তুগুলিকে আলাদা করতে এবং আগের চেয়ে অনেক বিস্তৃত পদ্ধতিতে মর্ফোলজি অধ্যয়নে সাহায্য করে।

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    নবীনতর পূর্বতন

    যোগাযোগ ফর্ম