মিল্কিওয়ের কেন্দ্রের যেন স্বর্ণমুদ্রার সমুদ্র! ছবি তুলে অবাক করল হাবল টেলিস্কোপ

    ন্ধুরা চলে এলাম আপনাদের নতুন কিছু তথ্য দিতে, হাবল টেলিস্কোপ থেকে যে ছবিটি তোলা হয়েছে সেটি গ্লোবুলার ক্লাস্টার টেরজ়ান ৯-এর। গ্লোবুলার ক্লাস্টার হল দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ নক্ষত্রের দল। যার মধ্যে হাজার হাজার থেকে লক্ষ-লক্ষ তারা ধারণ করার ক্ষমতা রয়েছে।


    মিল্কিওয়ের কেন্দ্রের যেন স্বর্ণমুদ্রার সমুদ্র! ছবি তুলে অবাক করল হাবল টেলিস্কোপ
    মিল্কিওয়ের কেন্দ্রের যেন স্বর্ণমুদ্রার সমুদ্র ছবি। 

    ঠিক যেন স্বর্ণমুদ্রার সমুদ্র মিল্কিওয়ের কেন্দ্রে

    সর্বশক্তিমান টেলিস্কোপ জেমস ওয়েব থেকে তোলা মহাজাগতিক দুনিয়ার শুরুর সময়কার ছবি আমাদের অবাক করে দিয়েছে। শুরু সময়ে কেমন ছিল নক্ষত্ররা বা টাইম মেশিনে কয়েকশো কোটি বছর আগে গিয়ে সেই ছবিই মানবজগতের কাছে তুলে ধরেছে ওয়েব। সেই জেমস ওয়েবের থেকে কম শক্তিমান হাবলও এবার এক চোখ ধাঁধানো ছবি নিয়ে হাজির হল। 

    গ্লোবুলার ক্লাস্টার কি

    হাবল টেলিস্কোপ থেকে তোলা উজ্জ্বল নক্ষত্রে ভরপুর সমুদ্র (তারার সাগর) দেখা গিয়েছে। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ESA) সেই উজ্জ্বল নক্ষত্রগুলিকে স্বর্ণমুদ্রার সঙ্গে তুলনা করছে।যে ছবিটি তোলা হয়েছে সেটি গ্লোবুলার ক্লাস্টার টেরজ়ান 9-এর। বিষয়টি সম্পর্কে যাঁরা এখনও পর্যন্ত অবগত নন, তাঁদের জেনে রাখা উচিৎ যে, গ্লোবুলার ক্লাস্টার হল দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ নক্ষত্রের দল, যার মধ্যে হাজার-হাজার থেকে লক্ষ-লক্ষ তারা ধারণ করার ক্ষমতা রয়েছে।

    গ্লোবুলার ক্লাস্টারের ঠিক কেন্দ্রটি ঘন ভাবে নক্ষত্রে পরিপূর্ণ। আর তাদের মধ্যে সেরার সেরা এবং বিশেষ চমক হল টেরজান 9। এখানে তারাগুলিকে এতটাই জ্বলজ্বলে দেখা গিয়েছে যা, স্বর্ণমুদ্রার সমুদ্রের থেকে যেন কোনও অংশে আলাদা নয়। ছবিটি তোলা হয়েছে হাবল টেলিস্কোপের ওয়াইড ফিল্ড ক্যামেরা ৩-এর সাহায্যে। যা বিভিন্ন সমীক্ষা বা সার্ভের জন্য অত্যন্ত অ্যাডভান্সড একটি ক্যামেরা।

    আরও পড়ুন: ইতিহাসে এথম জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের ছবি প্রকাশ

    এই ছবিটি শেয়ার করে ESA বা ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি লিখছে যে, হাবল টেলিস্কোপ যখন এই ছবিটি তুলেছিল তখন আসলে মিস্কিওয়ে গ্যালাক্সির হৃদয়ের দিকে গ্লোবুলার ক্লাস্টারগুলি তদন্ত করছিল। গ্যালাক্সির হৃৎপিণ্ডে তারাগুলির একটি শক্ত ভাবে প্যাক করা ভাণ্ডার রয়েছে। যাকে গ্যালাকটিক বাল্জ বলা হয়। এছাড়াও একে ইন্টারস্টেলার ডাস্ট বা আন্তঃনাক্ষত্রিক ধুলোও বলা যেতে পারে।

    আরও পড়ুন: পৃথিবীর জন্মের ১৩০০ কোটি বছর আগের মহাবিশ্বের ছবি তুলেছে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ

    এই ধূলিকণাটি গবেষকদের জন্য গ্যালাকটিক কেন্দ্রের কাছাকাছি গ্লোবুলার ক্লাস্টারগুলি অধ্যয়ন করার কাজটি কঠিন করে তুলেছে। কারণ এটি তারার আলো শোষণ করবে এবং এখানে তারারা আপাত রং পরিবর্তন করবে।হাবল যদিও তার অত্যাধুনিক হার্ডওয়্যার-সহ দৃশ্যমান এবং ইনফ্রারেড তরঙ্গদৈর্ঘ্য উভয়ের সংবেদনশীলতার কারণে এটি দেখতে সক্ষম হয়েছিল। এখান থেকেই জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা গণনা করার অনুমতি পেয়েছেন যে কীভাবে আন্তঃনাক্ষত্রিক ধূলিকণা দ্বারা এই ক্লাস্টারগুলির রং পরিবর্তিত হয় এবং এই ভাবেই তাদের বয়সও নির্ধারণ করা যায়।

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    নবীনতর পূর্বতন

    যোগাযোগ ফর্ম