তারার জন্ম হয় মহাকাশে কীভাবে! তার ছবি তুলে দেখাল জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ

    তারার জন্ম হয় মহাকাশে কীভাবে! তার ছবি তুলে দেখাল জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ
    মহাকাশে কীভাবে তারার জন্ম হয় তার ছবি।


    ওয়েস্টার্ন ডেটা সায়েন্স: মহাকাশের আরও একটি অত্যাশ্চর্য ছবি তুলে এনেছে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ। নাসার ওয়েব টেলিস্কোপের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে একটি নতুন ছবি শেয়ার করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে যে, এটি একটি তারার জন্মের সময়কালের ছবি। পোশাকি ভাষায় এই তারাদের প্রোটোস্টার বলা হয়। 

    মহাকাশে কীভাবে নক্ষত্র জন্ম হয়

    মহাকাশবিজ্ঞানী মহল বলছে যে, তারার জন্মের এমন ছবি আগে কখনও দেখা যায়নি।নক্ষত্রটির নাম L1527  যা ধুলোর মেঘে ঘেরা। এই মেঘগুলি শুধুমাত্র ইনফ্রারেড আলোতে দেখা যায়। ছবিতে দেখা গিয়েছে তা নক্ষত্রটি কেন্দ্রে রয়েছে এবং এর গঠনের সময় গ্যাস এবং ধুলো বের হচ্ছে।নাসা বলেছে যে, এই নক্ষত্রটি দেখতে অনেকটা বালিঘড়ির মতো। জেমস ওয়েব তার ইনফ্রারেড ক্যামেরা দিয়ে দেখেছে। 

    এটি থেকে কমলা এবং নীল আলো বের হচ্ছে। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি জানিয়েছে যে, এই তারকার এমন ছবি আগে কখনও দেখা যায়নি। গ্যাস এবং ধূলিকণার ঘূর্ণায়মান ডিস্কের কারণে এই নক্ষত্রটি তখনও অন্ধকার জগত ছিল। নাসার এক বিবৃতিতে তা বলা হয়েছে। নীল অংশটি সবচেয়ে পাতলা ধুলো। কমলা আলোতে ধুলো সবচেয়ে ঘন হয়।নাসার তরফে আরোও জানানো হয়েছে যে, নক্ষত্রের জন্ম এখনও সম্পন্ন হয়নি। এটি একটি প্রোটোস্টার যার জন্ম হয়েছে মাত্র ১ মিলিয়ন বছর আগে। 

    পৃথিবী থেকে কত দূরে তারার জন্ম হয়

    এই নক্ষত্রটি এতটাই নতুন যে, এটি এখনও নিজের শক্তি তৈরি করতে পারেনি। নাসার বিবৃতিতে আরোও বলা হয়েছে যে, নক্ষত্রের চারপাশের ডিস্কটি মোটামুটি আমাদের সৌরজগতের আকারের। নিউক্লিয়ার ফিউশন শুরু না হওয়া পর্যন্ত এই ডিস্ক প্রোটোস্টারে উপাদান সরবরাহ করবে। নাসা আরও যোগ করে বলছে, L1527 দেখে আমরা বুঝতে পারি কীভাবে আমাদের সূর্য প্রাথমিক পর্যায়ে গঠিত হতে পারে।

    আরও পড়ুন: এলিয়েনদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে এখনই প্রস্তুতি নিন, বিজ্ঞানীরা কড়া সতর্কবার্তা দিল

    এই প্রোটোস্টারটি টরাস মলিকুলার ক্লাউডে উপস্থিত যা পৃথিবী থেকে প্রায় ৪৩০ আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে। এটি তারার নার্সারি যেখানে শত শত তারার জন্ম হচ্ছে।জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ জানুয়ারি থেকে কাজ করছে। এটি এখনও পর্যন্ত নির্মিত সবচেয়ে শক্তিশালী টেলিস্কোপ। অনেক নজিরবিহীন ছবি তুলে সারা বিশ্ব ও বিজ্ঞানীদের অবাক করেছে ওয়েব। এই টেলিস্কোপটি ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে।

    আরও পড়ুন: সৌর ঝড় কত বছর অন্তর হয়

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    নবীনতর পূর্বতন

    যোগাযোগ ফর্ম