জীবনদায়ী জল কি বাড়ছে পৃথিবীর উষ্ণতা? ২০ বসছরের গবেষণায় মগ্ন NASA

    জীবনদায়ী জল কি বাড়ছে পৃথিবীর উষ্ণতা? ২০ বসছরের গবেষণায় মগ্ন NASA
     নাসা গবেষণা প্রথমবারের মতো ছবি।


    ওয়েস্টার্ন ডেটা সায়েন্স: সম্প্রতি নাসার উদ্যোগে প্রথমবারের মতো বিশ্বের মহাসাগর হ্রদ এবং নদীগুলির সমীক্ষা করার জন্য একটি আন্তর্জাতিক স্যাটেলাইট দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। লস অ্যাঞ্জেলেসের প্রায় ১৭০ মাইল বা ২৭৫ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে ভ্যানডেনবার্গ ইউএস স্পেস ফোর্স বেস থেকে SWOT (Surface Water and Ocean Topography) কে পৃথিবীর কক্ষপথে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল স্যাটেলাইটটি। 

    জল কি পৃথিবীর উষ্ণতা বাড়াতে পারে

    যদি সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী হয় এসইউভি আকারের স্যাটেলাইটটি কয়েক মাসের মধ্যে গবেষণার তথ্য তৈরি করে পাঠাতে শুরু করবে।এই মিশনের একটি প্রধান উদ্দেশ্য হল সমুদ্র ও মহাসাগরগুলি কীভাবে বায়ুমণ্ডলীয় তাপ এবং কার্বন ডাই অক্সাইডকে একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শোষণ করে তা অন্বেষণ করা। উল্লেখ্য যে, ওই পদ্ধতি প্রাকৃতিকভাবে বিশ্বের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং জলবায়ু পরিবর্তনকে হ্রাস করতে সহায়তা করে। 

    আরও পড়ুন: মক্সি যন্ত্র দিয়ে এবার মঙ্গলে অক্সিজেন তৈরি করছে নাসা, Mars Oxygen

    গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের কারণে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে আটকে থাকা অতিরিক্ত তাপের ৯০ শতাংশের বেশি মহাসাগরগুলি শোষণ করেছে বলে অনুমান করছেন বিজ্ঞানীরা। এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পৃথিবীর কক্ষপথ থেকে সমুদ্র ও মহাসাগরগুলি পর্যবেক্ষণ করে বিজ্ঞানীরা সমুদ্র স্রোত এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতার সূক্ষ্ম পার্থক্যগুলিকে সঠিকভাবে পরিমাপ করতে পারবেন বলে জানা গিয়েছে। প্রতি ২১ দিনে দু’বার করে তথ্য পাঠাবে এই স্যাটেলাইটটি। এই পদ্ধতির মাধ্যমে ঝড় ও বন্যার প্রভাব কোন এলাকার কত অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারে তা স্পষ্ট করে জানা যাবে। 

    আরও পড়ুন: মেঘে যদি ধুলো জমে তাহলে কেমন লাগে? এমনি ছবি তুলে দেখাল বুড়ো হাবল

    ঋতু পরিবর্তন এবং আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে নদী সমুদ্র এবং হ্রদের জলস্তর ওঠানামাকে আরও ভালভাবে শনাক্ত করতে সক্ষম হবে নাসা। স্যাটেলাইটটি তৈরি করা হয়েছে লস অ্যাঞ্জেলসের কাছে অবস্থিত নাসার জেট প্রোপালসান ল্যাবরেটরিতে। কানাডা এবং ব্রিটেনের সহযোগীদের নিয়ে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা প্রায় ২০ বছর ধরে এই গবেষণার কাজ করে চলেছে। SWOT-র ১৫টি মিশনের মধ্যে একটি ছিল জাতীয় গবেষণা কাউন্সিলের তালিকাভুক্ত প্রকল্প।

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    নবীনতর পূর্বতন

    যোগাযোগ ফর্ম