চাঁদে যাচ্ছে মানুষ, আর্টেমিস-১ মিশনে যে নভশ্চর

    ন্ধুরা চলে এলাম আপনাদের নতুন কিছু তথ্য দিতে, অ্যাপোলো মিশন বন্ধ হয়েছে প্রায় ৫০ বছর আগে। তার পর থেকে চাঁদের দিক থেকে সরে মঙ্গলের দিকে বেশি নজর দিয়েছিল নাসা। দীর্ঘ দিন পর ফের চাঁদে মানুষ পাঠানোর চেষ্টা চালাচ্ছে নাসা। তারই অঙ্গ হিসাবে ঐতিহাসিক আর্টেমিস-১ মিশন শুরু করা হয়েছে। 


    চাঁদে যাচ্ছে মানুষ, আর্টেমিস-১ মিশনে যে নভশ্চর

    আর্টেমিস-১ মিশনে চাঁদে যাবে মানুষ

    কেনেডি লঞ্চ প্যাড থেকে এই মিশন লঞ্চের কথা ছিল। কিন্তু আচমকায় তা স্থগিত করে দেওয়া হয়। উৎক্ষেপনের নির্দিষ্ট সময়ের ৪০ মিনিট আগে স্থগিত রাখা হয় এই মিশনের লঞ্চ।পৃথিবীর ইতিহাসে সবথেকে শক্তিশালী রকেট হচ্ছে আর্টেমিস-১। এই রকেটে করে এক সঙ্গে ৪ জন নভশ্চরকে চাঁদে নিয়ে যেতে সক্ষম। যদিও প্রথম বার লঞ্চের কোনও মানুষে চাঁদে পাঠানো হবে না আর্টেমিস-১-এর মাধ্যমে। 

    কিন্তু নভশ্চর সাজে সজ্জিত একটি ম্যানিকুইনকে পাঠানো হবে ওই রকেটের মাধ্যমে। ত্বরণ কম্পনের তথ্য সংগ্রহের জন্যই নভশ্চর সদৃশ ওই নভশ্চর পাঠানো হবে। সেই ম্যানিকুইনের নাম দেওয়া হয়েছে কমান্ড্যার মুনকিন কাম্পোস।ওরিয়ন ভাইব্রেশন টেস্টের জন্য ব্যবহার করা হবে মুনকিনকে। এই ম্যানিকুইন কম্যান্ডারের চেয়ারেই বসে থাকবে। রটেক যখন লঞ্চ করা হবে তখন নভশ্চরদের পোশাকই থাকবে এই ম্যানিকুইনের গায়ে। 

    আর্টেমিস-১ তথ্য সংগ্রহের যে সেন্সরগুলি থাকবে

    তথ্য সংগ্রহের জন্য এই মুনকিন গায়ে লাগানো থাকবে ২টি রেডিয়েশন সেন্সর। এর পাশাপাশি যে আসনে বসে থাকবে ওই মুনকিন তার নীচেও থাকবে বিভিন্ন রকমের সেন্সর। ভাইব্রেশন এবং অ্যাক্সিলারেশনের তথ্য সংগ্রহের জন্য থাকবে সেন্সরগুলি। গোটা মিশন জুড়ে ওই তথ্যগুলি সংগ্রহ করবে ওই সেন্সর।এর পাশাপাশি অ্যাপোলো ১৩ কে নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার জন্য উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন আর্তুরো কাম্পোস নামে আমেরিকার এক মহাকাশ বিজ্ঞানী। 

    আরও পড়ুন: এবার পৃথিবীর বুকেই চন্দ্রপৃষ্ঠের পরিবেশে, কৃত্রিম চাঁদ, তৈরি করছে চিন

    তাঁর নামেই নামকরণ করা হয়েছে আর্টেমিস-১ মিশনের কমান্ড্যারের আসনে বসা ওই ম্যানিকুইনের। তবে মুনকিন একা নয়। আরও দুটি ম্যানিকুইন থাকবে ওই মহাকাশযানে। তাঁরা অবশ্য মহিলা সদৃশ ম্যানিকুইন। তাদের নাম জোহর এবং হেলগা। ইজারায়েলের স্পেস এজেন্সি এবং জার্মান অ্যারোস্পেস সেন্টার বানিয়েছে ওই ম্য়ানিকুইন। রেডিয়েশন সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করবে তারা।


    চাঁদে যাচ্ছে মানুষ, আর্টেমিস-১ মিশনে যে নভশ্চর 1

    আরও পড়ুন: এই প্রথম এক গ্রহে কার্বন ডাই অক্সাইড খুঁজে পেল নাসা! সৌরজগতের বাইরে সাতশো আলোকবর্ষ দূরে

    আর্টেমিস-১ স্পেস লঞ্চ সিস্টেম রকেটটি ৩২২ ফুট দৈর্ঘের। নাসার তৈরি সবথেকে শক্তিশালী রকেট এটি। ২০২৪ সালে এর মাধ্যমে চাঁদে মানুষ পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে নাসা। চাঁদের দক্ষিণ মেরুকে লক্ষ্য বানাতে চাইছে নাসা। কারণ চাঁদের এই প্রান্তে প্রচুর গর্ত রয়েছে। তাতে বরফ থাকতে পারে বলে অনুমান নাসার বিজ্ঞানীদের।

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    নবীনতর পূর্বতন

    যোগাযোগ ফর্ম